এখানে, লেখক জেস কিড্ডের সাথে একটি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে একটি নতুন বাংলা সংবাদ নিবন্ধ দেওয়া হলো:
**বইয়ের জগৎ আর নিজের ভেতরের গল্প: জেস কিড্ডের অভিজ্ঞতা**
সাম্প্রতিক সময়ে সাহিত্য জগতে পরিচিত একটি নাম জেস কিড্ড। তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর লেখালেখির জগৎ তৈরি হয়েছে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। সম্প্রতি, তিনি তাঁর জীবনে বইয়ের প্রভাব এবং লেখক হয়ে ওঠার গল্প শুনিয়েছেন।
**শুরুর পাঠ: মিলস অ্যান্ড বুন থেকে সাহিত্যচর্চা**
ছোটবেলায় বই পড়ার হাতেখড়ি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জেস কিড্ড জানান, তাঁর দিদিমণিই ছিলেন প্রথম শিক্ষক। মিলস অ্যান্ড বুন-এর রোমান্স উপন্যাসগুলি ছিল তাঁর পাঠের প্রাথমিক সঙ্গী। সেই সময়ে অটিজম ও কুইয়ার পরিচয়ের কারণে এই ধরনের সাহিত্যকর্মের প্রতি এক ধরনের কৌতূহল তৈরি হয়েছিল তাঁর মনে। তাঁর পরিবারের অন্যদের মধ্যে গল্প বলার দারুণ প্রতিভা ছিল, বিশেষ করে তাঁর মা গল্প বলতে ভালোবাসতেন। তবে, জেসের ভালো লাগতো সিঁড়ির নিচে লুকিয়ে নিজের মতো করে গল্প লিখতে।
**যে বইটি বদলে দিয়েছিল জীবন**
কৈশোরে ডিলান থমাসের ‘আন্ডার মিল্ক উড’ বইটি জেসের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। যদিও ছোটবেলায় রেকর্ড শুনেছিলেন, কিন্তু বই হিসেবে পড়ার অভিজ্ঞতা ছিল অন্যরকম। ভাষার মাধুর্য এবং গল্পের বিস্তার তাঁকে মুগ্ধ করেছিল।
**যে বই লেখক হতে অনুপ্রাণিত করেছে**
ক্রিস্টিন নস্টলিঞ্জারের ‘কনরাড দ্য ফ্যাক্টরি-মেড বয়’ বইটি জেসের লেখক হওয়ার স্বপ্নকে আরও পোক্ত করেছে। এই বইয়ের মূল চরিত্র কনরাড-এর সঙ্গে নিজের অটিজম-এর সাদৃশ্য খুঁজে পান তিনি। সমাজের নিয়ম ভেঙে দেওয়া মিসেস বারতোলত্তির সঙ্গে কনরাডের সম্পর্ক, তাঁদের একসঙ্গে থাকার আকুলতা – সবকিছুই জেসকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। তাঁর মনে হয়েছিল, গল্প বলার মধ্যে দিয়েই জীবনের গভীরতা উপলব্ধি করা যায়।
**প্রিয় লেখক এবং পছন্দের বই**
ছোট গল্পের প্রতি জেসের বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। জর্জ স্যান্ডার্সের লেখায় তিনি নতুনত্ব খুঁজে পান। বিশেষ করে ‘সিভিলওয়ারল্যান্ড ইন ব্যাড ডিক্লাইন’ এবং ‘লিঙ্কন ইন দ্য বার্ডো’ গল্প দুটি তাঁর খুব প্রিয়। শার্লি জ্যাকসনের লেখাকেও তিনি ভালোবাসেন। তাঁর ‘উই হ্যাভ অলওয়েজ লিভড ইন দ্য ক্যাসেল’ বইটি জেসের মনকে নাড়া দেয়।
**যে বইটি আর পড়তে চান না**
রবার্ট লুই স্টিভেনসনের ‘স্ট্রেঞ্জ কেস অফ ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড’ বইটি জেসের ভালো লাগে না। চরিত্রগুলোর দুর্বল চিত্রায়ণ এবং গল্পের দুর্বলতা তাঁকে হতাশ করে।
**বর্তমানে পড়ছেন যে বইগুলি**
বর্তমানে তিনি একই সঙ্গে দুটি বই পড়ছেন। ড্যানিয়েল ম্যাসনের ‘নর্থ উডস’ এবং জোয়ান শেনকারের লেখা প্যাট্রিসিয়া হাইস্মিথের জীবনী পড়ছেন তিনি। হাইস্মিথের জীবনের নানা দিক, তাঁর গল্পের জটিলতা জেসকে আকৃষ্ট করে।
**মনের শান্তির জন্য যে বই**
কেলি লিঙ্কের লেখালেখি জেসকে শান্তি এনে দেয়। তাঁর গল্পের জগত একেবারে আলাদা, যা জেসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
**নতুন বই: মার্ডার অ্যাট গালস নেস্ট**
পাঠকদের জন্য সুখবর হলো, জেস কিড্ডের নতুন রহস্য উপন্যাস ‘মার্ডার অ্যাট গালস নেস্ট’ ১৩ই মার্চ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান