গ্লাসগোর অভিজাত রেস্তোরাঁ মার্গো: খাদ্যরসিকদের জন্য এক নতুন দিগন্ত
বর্তমান সময়ে ভোজনরসিক বাঙালির রুচি ও পছন্দের তালিকায় প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। মানুষ এখন শুধু ঘরোয়া খাবারের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক খাবারের স্বাদ নিতে আগ্রহী হচ্ছে। যারা ভিন্ন স্বাদের খাবারের সন্ধান করেন, তাদের জন্য স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে সম্প্রতি চালু হওয়া ‘মার্গো’ রেস্তোরাঁটি হতে পারে দারুণ এক গন্তব্য।
মার্গো’র প্রধান আকর্ষণ হল এর পরিবেশ এবং খাবারের ভিন্নতা। রেস্তোরাঁটির মালিক জোনাথন ম্যাকডোনাল্ড, যিনি এর আগে ‘অক্স এন্ড ফিঞ্চ’ নামে একটি রেস্তোরাঁ তৈরি করে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। মার্গো’র রান্নাঘরের দায়িত্বে আছেন রবিন আইকেন। রেস্তোরাঁটির অন্দরসজ্জা বেশ আকর্ষণীয়। পুরনো একটি গুদামঘরের কাঠামো ব্যবহার করে এটিকে আধুনিক ও রুচিসম্মত করে তোলা হয়েছে।
মার্গো’র মেনুতে রয়েছে মুখরোচক সব খাবার। ছোট আকারের থালাগুলোতে পরিবেশন করা হয় বলে বন্ধুদের সাথে বসে গল্প করতে করতে এইসব খাবারের স্বাদ নেওয়া যেতে পারে। তাদের পরিবেশন করা ‘ফোকাসিয়া’ রুটি, যা হালকা ও খাস্তা স্বাদের জন্য পরিচিত, খাদ্যরসিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও, পোলেন্টা চিপস্টিকস, হ্যাম হগ ক্রোকেটস, ঠান্ডা রোস্ট করা ভেড়া, বাভেত্তে স্টেক এবং ক্রীডি কার্ভার হাঁসের মাংসের মতো পদগুলোও গ্রাহকদের মন জয় করেছে। খাবারের স্বাদ এবং মানের কারণে মার্গো ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে।
খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি মার্গো’র কর্মীরাও বেশ আন্তরিক। তাদের পোশাক এবং আচরণে আতিথেয়তার ছাপ স্পষ্ট। রেস্তোরাঁটি সম্প্রতি মিশেলিন গাইড কর্তৃক ‘বিব গুরমঁ’ পুরস্কার জিতেছে, যা তাদের গুণগত মান ও খাবারের মূল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ।
মার্গো’র সাফল্যের পেছনে রয়েছে জোনাথন ম্যাকডোনাল্ডের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা। মায়ের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে তিনি এই রেস্তোরাঁটি তৈরি করেছেন। মার্গো’র যাত্রা শুধু একটি রেস্তোরাঁ খোলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি গ্লাসগোর খাদ্য সংস্কৃতিতে একটি নতুন ধারার সূচনা করেছে।
মার্গো’র খাবারের স্বাদ, পরিবেশ ও আতিথেয়তা দেখে বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবসায়ীরাও অনুপ্রাণিত হতে পারেন। আন্তর্জাতিক মানের রেস্তোরাঁ তৈরি করে কীভাবে গ্রাহকদের মন জয় করা যায়, মার্গো তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান