শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা: অভিভাবকদের জন্য জরুরি কিছু পরামর্শ
বর্তমান ডিজিটাল যুগে শিশুদের হাতে স্মার্টফোন বা অন্যান্য ডিভাইস তুলে দেওয়াটা যেন একরকমের স্বাভাবিক ঘটনা। একদিকে যেমন তারা প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে, তেমনি ইন্টারনেটের নানা বিপদ তাদের চারপাশে।
কিভাবে এই ডিজিটাল দুনিয়ায় শিশুদের সুরক্ষিত রাখবেন, সেই বিষয়ে কিছু জরুরি পরামর্শ নিয়ে আজকের এই আলোচনা।
শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অভিভাবকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। তাদের মতে, শুধুমাত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করা যথেষ্ট নয়।
বরং, অভিভাবকদের সচেতনতা, শিশুদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা এবং ভালো উদাহরণ তৈরি করাটাই বেশি জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিভাবকদের শুরুতেই শিশুদের সঙ্গে ইন্টারনেটের ভালো-মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, অনলাইনে কোন ধরনের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে এবং কোনো সমস্যা হলে কার সঙ্গে কথা বলতে হবে।
তারা যেন ভয় না পেয়ে অভিভাবকদের জানাতে পারে। এছাড়াও, শিশুদের অনলাইন কার্যকলাপের ওপর অভিভাবকদের নিয়মিত নজর রাখতে হবে।
অনেক অভিভাবকই মনে করেন, শিশুদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করাই যথেষ্ট। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্ক্রিন টাইম-এর থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, তারা অনলাইনে কী করছে, সেদিকে খেয়াল রাখা।
অনলাইনে পড়াশোনা বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্ক্রিন টাইম উপকারী হতে পারে। তাই, শুধু সময় বেঁধে দিলেই হবে না, দেখতে হবে তারা কোন ওয়েবসাইটে যাচ্ছে, কী ধরনের গেম খেলছে বা কার সঙ্গে কথা বলছে।
শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যেমন –
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, শিশুরা তাদের অভিভাবকদের তৈরি করা নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করবেই। তাই, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের সমস্যাগুলো বোঝার চেষ্টা করা জরুরি। তাদের বোঝাতে হবে, কেন কিছু বিষয় তাদের জন্য ক্ষতিকর।
শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের ধৈর্য ধরতে হবে। তাদের ডিজিটাল দুনিয়ার ভালো-মন্দ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে হবে।
অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে, শিশুদের শুধু নিয়ন্ত্রণ করলেই চলবে না, বরং তাদের সচেতন করে তুলতে হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian