মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলার পর সেখানে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। শনিবারের ওই হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১০১ জন।
হুতি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এর প্রতিক্রিয়ায় হুতি বিদ্রোহীরা প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং বলেছে তারা “জবাব দেবে, এবং উত্তেজনা বাড়লে তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে”।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে নৌ-চলাচলে বাধা দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের “অবিরাম” বিমান হামলা চলবে। হুতিদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানাতেই তারা বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর তারা হামলা বন্ধ রেখেছিল, তবে সম্প্রতি গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে তারা আবার হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে যতক্ষণ না তারা মার্কিন স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক নৌচলাচলের ওপর হামলা বন্ধ করে। তিনি ইরানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, হুতিদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে হবে।
তবে ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেন সালামি বলেছেন, হুতিদের কার্যক্রমের সঙ্গে ইরানের কোনো সম্পর্ক নেই। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হুতিদের ওপর হামলা সমস্যার সমাধান নয়। বরং আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক কূটনীতিকের মতে, হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো একটি ভুল সিদ্ধান্ত।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে, লোহিত সাগরের নৌপথ, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হতে পারে।
এছাড়া, গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা