1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
March 19, 2025 4:28 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
মার্কিন বন্দরের দূষণ: ভবিষ্যৎ অন্ধকারে? যুদ্ধ শেষের পথে? ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের চাওয়া কি পূরণ হবে? জাপানি স্বাদের অভিজ্ঞতা: কাইশুর রন্ধনশালায় ঋতু পরিবর্তনের স্বাদ! সাউথওয়েস্টের দুঃখে ফ্রন্টিয়ারের সুবর্ণ সুযোগ! বিনামূল্যে ব্যাগ আর সিট! মাঠে ভয়ঙ্কর দৃশ্য! স্কটল্যান্ডের খেলোয়াড়ের ওপর ফ্রান্সের খেলোয়াড়ের এমন কাণ্ড! court ট্র্যাসি মরগানের বমি: খেলা বন্ধ, ভক্তদের মাঝে চাঞ্চল্য! এআই: মানুষের মতো বুদ্ধি! এনভিডিয়ার নতুন চমক, বাড়বে এআই-এর ক্ষমতা! গাজায় ফেরা অনিশ্চিত! ইসরায়েলের হামলায় জিম্মিদের পরিবারে কান্না গাজায় ইসরায়েলের বোমা: ফের ‘নরকে’ ফিলিস্তিনিরা, শিশুদের আর্তনাদে আকাশ ভারী! ক্রিমিয়া: যুদ্ধের ময়দান নাকি খেলার মাঠ? রাশিয়া-ইউক্রেনের আকর্ষণের কারণ!

শূকরের হৃদয়ে জীবন? দুঃস্বপ্নের অবসান?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Tuesday, March 18, 2025,

মানবদেহে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের সম্ভবনা, অঙ্গ-সংকটের সমাধানে নতুন দিগন্ত?

বিশ্বজুড়ে যখন মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গের অভাব তীব্র, তখন বিজ্ঞানীরা এক যুগান্তকারী উদ্ভাবনের পথে এগিয়ে চলেছেন। ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডাক্তার মুহাম্মদ মনসুর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল গবেষক শূকরের হৃদপিণ্ডকে মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন। এই গবেষণা যদি সফল হয়, তবে তা মানবদেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং সারা বিশ্বের রোগীদের জন্য জীবন বাঁচানোর সুযোগ তৈরি করবে।

ডাক্তার মহিউদ্দিন এবং তার দল ইতিমধ্যে এই পদ্ধতিতে দুটি সফল অস্ত্রোপচার করেছেন। ২০২২ সালে ডেভিড বেনেট সিনিয়র নামের এক রোগীর শরীরে প্রথম শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়। মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে প্রচলিত পদ্ধতিতে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সুযোগ ছিল না তার। অস্ত্রোপচার সফল হলেও, দুই মাস পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে বেনেটের মৃত্যু হয়।

এরপর ২০২৩ সালে লরেন্স ফসেট নামের আরেকজন রোগীর শরীরে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়। তিনিও অস্ত্রোপচারের প্রায় ৪০ দিন পর একই কারণে মারা যান।

যদিও দুটি পরীক্ষাই সফলতার মুখ দেখেনি, তবে এই প্রক্রিয়াগুলো ডাক্তার মহিউদ্দিন এবং তার দলকে মূল্যবান তথ্য দিয়েছে। এই অভিজ্ঞতাগুলোর মাধ্যমে তারা বুঝতে পেরেছেন, কীভাবে শূকরের হৃদপিণ্ডকে মানুষের শরীরের সঙ্গে আরও ভালোভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়।

এই গবেষণার মূল ভিত্তি হলো ‘জেনোট্রান্সপ্লান্টেশন’ – অর্থাৎ, এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রাণীর শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা। ডাক্তার মহিউদ্দিন এই ক্ষেত্রে একজন অগ্রণী গবেষক এবং শূকরের হৃদপিণ্ড মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তিনি জানান, প্রথমে তারা ইঁদুরের শরীরে ছুঁচোর হৃদপিণ্ড, এরপর ইঁদুরের শরীরে ইঁদুরের হৃদপিণ্ড এবং বানরের শরীরে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করেন।

বানর ও শিম্পাঞ্জির ডিএনএ মানুষের কাছাকাছি হলেও, এই দুটি প্রাণীর শরীরে এইডস-এর মতো রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ছিল। এছাড়াও, বানরের হৃদপিণ্ড মানুষের জন্য উপযুক্ত হতে অনেক বেশি সময় নিতো।

শূকর নির্বাচনের কারণ সম্পর্কে ডাক্তার মহিউদ্দিন বলেন, শূকর খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে এবং এদের শরীরে জিনগত পরিবর্তন করা সহজ। একটি শূকরীর গড়ে ১০টি বাচ্চা হয়, যা গবেষণার জন্য অনেক বেশি সুবিধা নিয়ে আসে। শূকরের শারীরবৃত্তীয় গঠন মানুষের থেকে আলাদা হলেও, জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের অঙ্গ মানুষের শরীরের উপযোগী করে তোলা সম্ভব।

এই প্রক্রিয়ায় শূকরের প্রায় ৩০,০০০ জিনের মধ্যে মাত্র ১০টিকে পরিবর্তন করা হয়। এর মাধ্যমে প্রধানত শূকরের হৃদপিণ্ডকে মানুষের শরীর প্রত্যাখ্যান করতে বাধা দেওয়া হয় এবং হৃদপিণ্ডের অতিরিক্ত বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এক্ষেত্রে, শূকরের অঙ্গ ব্যবহার করা কতটা নৈতিক, সেই বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। তবে ডাক্তার মহিউদ্দিনের মতে, “যখন জীবন বাঁচানোর প্রশ্ন আসে, তখন অন্য সব বিষয় গৌণ হয়ে যায়।”

বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গের সংকট একটি গুরুতর সমস্যা। উন্নত দেশগুলোতেও এই সমস্যা প্রকট। বাংলাদেশেও প্রতি বছর অনেক মানুষ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অভাবে মারা যায়। ডাক্তার মহিউদ্দিনের এই গবেষণা সফল হলে, অঙ্গ-সংকট মোকাবিলায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT