শিরোনাম: রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কঠিন সমীকরণ আর্সেনালের
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর, উয়েফা উইমেন’স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে গেল আর্সেনাল। স্পেনের এস্তাদিও আলফ্রেদো ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ গোলে জয়লাভ করে।
ফলে সেমিফাইনালে উঠতে হলে আর্সেনালকে ফিরতি লেগে ভালো করতে হবে।
উইমেন’স চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইউরোপের ক্লাবগুলোর মধ্যে মেয়েদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারাটা যেকোনো দলের জন্যই সম্মানের।
আর্সেনাল এই প্রতিযোগিতায় বেশ অভিজ্ঞ একটি দল। তারা এর আগে ১৫ বার এই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে এবং একবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে।
অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদ নারী দল হিসেবে এখনো তেমন অভিজ্ঞ নয়। এটি তাদের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল। এর আগে তারা একবার বার্সেলোনার কাছে হেরেছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধে লিন্ডা কাইসেদোর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। বিরতির পর, আথেনিয়া দেল কাস্টিলোর করা গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। তাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা আর্সেনালের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
আর্সেনালের রক্ষণভাগের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ গোল আদায় করে নেয়।
আর্সেনালের কোচ রেনি স্লেগার তার দলের পারফরম্যান্সে হতাশ হলেও দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, “এখনো পর্যন্ত খেলার অর্ধেক শেষ হয়েছে।
আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা মনে করি, ম্যাচটা বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল এবং আমরা বেশি বলের দখল রেখেছিলাম ও ভালো সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিলাম।
তবে তারা ভালো রক্ষণ করে এবং সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নিয়েছে। দ্বিতীয় লেগে আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করব।”
তবে ম্যাচের আগে মাঠের অবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অনেকে। মাঠের ভেজা এবং কাদাযুক্ত পরিস্থিতির কারণে খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক খেলা ব্যাহত হয়েছে।
বিশেষ করে, রিয়াল মাদ্রিদের মাঠের এই অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ তাদের পুরুষ দলের খেলার জন্য সাধারণত এই মাঠ ব্যবহার করা হয় না।
আগামী বুধবার, আর্সেনালের ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ম্যাচে ভালো করতে পারলে আর্সেনালের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান