1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 21, 2025 2:59 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
ইংল্যান্ডে রাগবি: মাঠের লড়াইয়ে ফিরছে প্রিমিয়ারশিপ, টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে! বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে শ্রমিকের মৃত্যু: সৌদি আরবের নীরবতা! অ্যাপল টিভিতে তারকাদের ভিড়, দর্শক কোথায়? অনুভূতি: জেফ ব্রিজেসের নতুন অ্যালবাম, সঙ্গীতের গোপন জগৎ! বড়দিনে ভিয়েতনাম যাত্রা: মা-এর সিদ্ধান্তে ছেলের তীব্র প্রতিক্রিয়া, সম্পর্ক কি ভাঙনের মুখে? দাবার আসরে বাজিমাত! বিবিসি’র নতুন শো-এর টিআরপি দেখে চোখ কপালে! ইউরোপে ঘোড়ায় চড়ার অসাধারণ অভিজ্ঞতা! আকর্ষণীয় গন্তব্যগুলো দেখুন স্নো হোয়াইট: কীভাবে বছরের অভিশপ্ত সিনেমা হলো? হীথ্রো বিমানবন্দরের বিপর্যয়ে আকাশপথে বড় ক্ষতি, বাড়ছে যাত্রীদুর্ভোগ! ডেমোক্রেটদের সমাবেশে জনগণের রোষ, ‘লড়াই করুন’

ছোটবেলার স্মৃতি কেন মনে নেই? বিজ্ঞানীরা দিলেন আসল কারণ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Friday, March 21, 2025,

শিশুকালের স্মৃতি কেন মনে থাকে না? নতুন গবেষণায় এর কারণ অনুসন্ধান

ছোটবেলার স্মৃতিগুলো, বিশেষ করে শৈশবের দিনগুলো কি আমরা সবসময় মনে রাখতে পারি? উত্তরটি সম্ভবত না। শৈশবের অনেক কিছুই আমাদের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়।

কিন্তু কেন এমন হয়? সম্প্রতি, পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এর একটি সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করেছেন।

গবেষণাটি “সায়েন্স” নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৪.২ মাস থেকে ২৪.৯ মাস বয়সী ২৬ জন শিশুর মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরীক্ষা করা হয়।

শিশুদের একটি বিশেষ ‘এফএমআরআই’ মেশিনে রাখা হয়েছিল। এই মেশিনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ছবি তোলা সম্ভব।

গবেষকরা শিশুদের কিছু ছবি দেখান এবং একইসঙ্গে তাদের মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অঞ্চলের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেন। হিপোক্যাম্পাস হলো মস্তিষ্কের এমন একটি অংশ যা স্মৃতি, আবেগ এবং স্নায়ু কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।

গবেষণায় দেখা গেছে, অপেক্ষাকৃত বড় শিশুদের (১২ থেকে ২৪ মাস) স্মৃতি তৈরি করার সময় হিপোক্যাম্পাসে বেশি সক্রিয়তা দেখা যায়। এছাড়াও, তাদের ‘অরবিটোফ্রন্টাল কর্টেক্স’-এও কার্যকলাপ লক্ষ্য করা গেছে, যা স্মৃতি সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং চেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গবেষণার প্রধান লেখক, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নিক টার্ক-ব্রাউন মনে করেন, “শিশুদের মস্তিষ্কের এই পরিবর্তনগুলো তাদের স্মৃতি ধারণের ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

বিশেষ করে, শৈশবে মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাসের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে।”

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ডেভিসের অধ্যাপক ড. সিমোনা গেত্তি জানান, যদিও শিশুদের স্মৃতি তৈরি করার ক্ষমতা নিয়ে আগে অনেক গবেষণা হয়েছে, এই গবেষণাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাসের সক্রিয়তার সঙ্গে স্মৃতি তৈরির সম্পর্ক স্থাপন করেছে।

গবেষকরা শিশুদের চোখের নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে তাদের স্মৃতিশক্তি যাচাই করেছেন। একটি ছবিতে শিশু কতক্ষণ তাকিয়ে থাকছে, সেটির ওপর ভিত্তি করে তারা বুঝতে চেষ্টা করেছেন ছবিটি শিশুটির পরিচিত কিনা।

যদি শিশু পরিচিত ছবিতে বেশি সময় ধরে তাকায়, তবে সেটি স্মৃতিশক্তির প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লীলা দাভাচি বলেছেন, “আমরা প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতি সম্পর্কে যা জানি, তা হলো—আমাদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোই আমরা মনে রাখার চেষ্টা করি।

এই গবেষণায় শিশুদের ক্ষেত্রে হিপোক্যাম্পাসের সক্রিয়তা দেখা গেছে, যা তাদের জন্য হয়তো ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, শৈশবে শিশুদের মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশ ঘটে এবং তাদের স্মৃতি তৈরি ও ধরে রাখার প্রক্রিয়াও ভিন্ন হয়।

তাই, শৈশবের স্মৃতিগুলো হয়তো আমরা সেভাবে মনে রাখতে পারি না।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শৈশব শিশুদের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শিশুরা এসময় তাদের চারপাশের জগৎ সম্পর্কে অনেক কিছু শেখে।

তারা শব্দ এবং বস্তুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে শুরু করে, পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে এবং তাদের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে।

ড. গেত্তি অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, “শিশুদের জন্য সুযোগ তৈরি করুন, যেন তারা তাদের চারপাশের জগৎকে ভালোভাবে দেখতে পারে।

তাদের সঙ্গে পুনরাবৃত্তি করে কথা বলুন, গল্প বলুন অথবা গান করুন।”

শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং তাদের নতুন কিছু শেখার সুযোগ করে দেওয়া—এগুলো তাদের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT