ক্রিসমাসের জনপ্রিয় গান ‘অল আই ওয়ান্ট ফর ক্রিসমাস ইজ ইউ’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত সম্প্রতি এক রায়ে জানিয়েছেন, এই গানটি অন্য কোনো শিল্পীর গান থেকে চুরি করা হয়নি।
ফলে, জনপ্রিয় মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী মারিয়া কেরি’র বিরুদ্ধে আনা কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ খারিজ হয়ে গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ফেডারেল আদালতের বিচারক মনিকা রামিরেজ আলমাদানি বুধবার এই রায় দেন।
এর ফলে মারিয়া কেরি এবং গানের সহ-রচয়িতা ওয়াল্টার অ্যাফানাশিয়েফের জয় হয়েছে, এবং তাদের আর বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি।
২০২৩ সালে, লুসিয়ানার সঙ্গীত শিল্পী অ্যান্ডি স্টোন, যিনি ‘ভেন্স ভ্যান্স’ নামে পরিচিত, এবং টেনেসির ট্রয় পাওয়ার্স, এই গানটি নিয়ে ২০ মিলিয়ন ডলারের একটি মামলা করেন।
তাদের অভিযোগ ছিল, ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া মারিয়া কেরির গানটি তাদের ১৯৮৯ সালের একই শিরোনামের একটি কান্ট্রি গানের কপিরাইট লঙ্ঘন করেছে।
তাদের গানটিও একসময় বিলবোর্ড হট কান্ট্রি চার্টে ৩১ নম্বরে ছিল।
এই গানটি এখনো ক্রিসমাস মৌসুমে ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করে।
মামলার আইনজীবীর ভাষ্যমতে, তাদের দুই সঙ্গীত বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতেই মামলাটি করা হয়েছিল।
তাদের দাবি ছিল, মারিয়া কেরি ও অ্যাফানাশিয়েফ তাদের গান শুনেছেন এবং সেটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ ব্যবহার করেছেন।
তবে, বিচারক দুপক্ষের শুনানির পর মারিয়া কেরির আইনজীবীদের সঙ্গে একমত হন।
তিনি জানান, গানগুলোতে ব্যবহৃত ক্রিসমাসের সাধারণ কিছু বিষয় উভয় গানের আগেই বিদ্যমান ছিল এবং কেরি’র গানে সেগুলোর ব্যবহার ভিন্ন।
বিচারক আরও বলেন, বাদীপক্ষ গানগুলোর মধ্যে যথেষ্ট মিল প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিচারক আলমাদানি বাদীপক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, তাদের দায়ের করা মামলা এবং পরবর্তী কার্যক্রম ‘অযৌক্তিক’ ছিল।
তাদের আইনজীবীরা ‘প্রমাণসহ তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করতে কোনো চেষ্টা করেননি’।
এমনকি, বিবাদীপক্ষের আইনজীবীর ফি-এর অংশবিশেষ পরিশোধ করার নির্দেশও দেন তিনি।
মারিয়া কেরির এই গানটি ১৯৯০-এর দশকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই অত্যন্ত জনপ্রিয়।
গত ছয় বছর ধরে এটি বিলবোর্ড হট ১০০ চার্টে এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছে, যা গানের আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তার প্রমাণ।
মারিয়া কেরি এবং অ্যাফানাশিয়েফের মধ্যে গানটি লেখার কৃতিত্ব নিয়ে কিছু মতবিরোধ থাকলেও, মামলার কারণে তারা অন্তত এই সময়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন