মহাকাশ গবেষণা, নাসা এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির খবর: নতুন দিগন্তের উন্মোচন।
সুনীতি উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (International Space Station – ISS) মিশন সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। বোয়িং স্টারলাইনার (Boeing Starliner) মহাকাশযানে করে তারা প্রায় ৯ মাস, অর্থাৎ ২৮৬ দিন মহাকাশে অতিবাহিত করেন।
প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে তাদের প্রত্যাবর্তনে বিলম্ব হয়। অবশেষে, নাসার (NASA) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারা স্পেসএক্সের (SpaceX) একটি ক্যাপসুলে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
এই মিশনে নভোচারীরা মহাকাশে হাঁটা এবং ৯০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালান।
এদিকে, ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের (Firefly Aerospace) তৈরি করা ব্লু ঘোস্ট (Blue Ghost) নামের একটি চন্দ্রযান চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ১৪ দিনের সফল অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। এই যানটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২০ গিগাবাইট ডেটা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে, যা ২৪,০০০-এর বেশি গানের সমান।
এই মিশনের মাধ্যমে চাঁদের পরিবেশ এবং গঠন সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া যাবে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মহাকাশ গবেষণার পাশাপাশি, দূরবর্তী নক্ষত্র এবং গ্যালাক্সি নিয়ে বিজ্ঞানীরা নতুন আবিষ্কার করেছেন।
বার্নার্ডের নক্ষত্রকে (Barnard’s Star) কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান চারটি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে। যদিও এই গ্রহগুলোতে জীবনের সম্ভাবনা কম, তবে এটি আমাদের সৌরজগতের বাইরের জগৎ সম্পর্কে নতুন ধারণা দেয়।
অন্যদিকে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope) এবং চিলির (Chile) ALMA টেলিস্কোপের (ALMA telescope) মিলিত গবেষণায় দূরবর্তী একটি গ্যালাক্সিতে অক্সিজেন এবং ভারী ধাতুর অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের ধারণা পরিবর্তন করতে পারে, কারণ এর মাধ্যমে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে মহাবিশ্বের প্রথম দিকে গ্যালাক্সিগুলো দ্রুত গঠিত হয়েছিল এবং তারা আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল ছিল।
অন্যদিকে, বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, অতীতে সুপারনোভা বা নক্ষত্রের বিস্ফোরক মৃত্যু পৃথিবীর জীবজগতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল।
তাদের হিসাব অনুযায়ী, গত ৫০০ মিলিয়ন বছরে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সুপারনোভা পৃথিবীর ওজোন স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দুটি ব্যাপক জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তির কারণ হতে পারে।
এছাড়াও, সম্প্রতি কিছু আকর্ষণীয় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে:
বিজ্ঞানীরা এই সব আবিষ্কারের মাধ্যমে মহাবিশ্বের অজানা রহস্য উন্মোচন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, যা আমাদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন (CNN)