ডিজনি এবার তাদের ক্লাসিক এনিমেটেড ছবি ‘স্নো হোয়াইট’ -এর লাইভ-অ্যাকশন সংস্করণ নিয়ে এসেছে, যা বিশ্বজুড়ে সিনেমা প্রেমীদের মাঝে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ১৯৩৭ সালের জনপ্রিয় অ্যানিমেশন ‘স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ড्वार्ফস’-এর এই নতুন রূপান্তরটি কেমন হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পর্যালোচনা প্রকাশিত হয়েছে।
ছবিটিতে স্নো হোয়াইটের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন র্যাচেল জেগলার এবং খলনায়িকা, অর্থাৎ ঈর্ষাপরায়ণ রানীর চরিত্রে দেখা যাবে গাল গ্যাডটকে। তবে, মুক্তির আগে থেকেই ছবিটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
অনেক সমালোচক এই ছবির নির্মাণশৈলী এবং গল্পের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পর্যালোচনাকারীরা ছবিটির ভিজ্যুয়াল এফেক্টস-এর মান নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
কারো কারো মতে, ছবির দৃশ্যগুলো ‘অত্যন্ত দুর্বল’ এবং ‘চোখে লাগার মতো’। গল্পের দুর্বলতা এবং অতিরিক্ত আবেগপূর্ণ দৃশ্য দর্শকদের মনে বিরক্তি সৃষ্টি করতে পারে বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত পর্যালোচনাগুলোতে ছবির দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, “এই ছবিটি সম্ভবত সবচেয়ে দৃষ্টিকটু ছবিগুলোর মধ্যে একটি।
তবে, বাংলাদেশে ডিজনি ফিল্মগুলোর একটি বিশাল দর্শকশ্রেণী রয়েছে। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধরনের ছবির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তাই, ‘স্নো হোয়াইট’-এর এই নতুন সংস্করণটি বাংলাদেশের দর্শকদের কতটা আকৃষ্ট করতে পারে, তা এখন দেখার বিষয়।
যদিও আন্তর্জাতিক সমালোচকদের রায়ে ছবিটির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তবুও বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীরা ছবিটি কিভাবে গ্রহণ করে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সব মিলিয়ে, ‘স্নো হোয়াইট’-এর লাইভ-অ্যাকশন সংস্করণটি নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে। ছবিটির ভালো-মন্দ উভয় দিকেই আলোকপাত করা হচ্ছে, যা দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান