হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের জেরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কর্তৃপক্ষের ভিন্ন মত।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে সম্প্রতি একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নর্থ হাইড সাবস্টেশনে আগুন লাগার কারণে বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
তবে এই ঘটনার পর ন্যাশনাল গ্রিডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন পেটিগ্রিউ জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের অন্য দুটি সাবস্টেশন চালু ছিল এবং সেগুলোর মাধ্যমে হিথরোর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব ছিল।
পেটিগ্রিউর মতে, বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো ঘাটতি ছিল না। প্রত্যেকটি সাবস্টেশন একাই হিথরোর জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থমাস ওল্ডব্যের দাবি, বিমানবন্দরের ব্যাকআপ সিস্টেমে সুইচ করতে বেশ সময় লাগে। তাছাড়া, বিমানবন্দরের বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুতের প্রয়োজন।
এই ঘটনার জেরে বিমান পরিবহন খাতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিরEstimate করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সমান। দুই লক্ষেরও বেশি যাত্রীর বিমানযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের জ্বালানি মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড জানিয়েছেন, সরকার এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও সুসংহত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুনে প্রায় ২৫ হাজার লিটার কুলিং তেল পুড়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে, মেট্রোপলিটন পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে, তবে এটিকে তারা সন্দেহজনক হিসেবে দেখছে না। বর্তমানে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং তারা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলোর ওপর বিশেষভাবে নজর রাখছে।
নর্থ হাইড সাবস্টেশনটি ১৯৬০-এর দশকে তৈরি করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই সাবস্টেশনটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছিল, যাতে একটি অগ্নিকাণ্ডের কারণে এর তিনটি ট্রান্সফরমারই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে?
ন্যাশনাল গ্রিডের প্রধান পেটিগ্রিউ বলেছেন, সাবস্টেশন নির্মাণের জন্য সীমিত জায়গার কারণে ঝুঁকি কমাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তদন্তে এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান