1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 29, 2025 12:32 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
কুমিল্লার দুই সাংবাদিক নিখোঁজের ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা জরুরী : বিএমএসএফ এক সপ্তাহে তিনটি ফুলের পোশাকে মজেছেন মিন্ডি ক্যালিং! ভয়ঙ্কর দৃশ্য! রাস্তায় কাজ করার সময় ট্রাকের ধাক্কা, তারপর… ১০০ কুকুরের করুণ দশা: নিউইয়র্কের ঘটনায় স্তম্ভিত সবাই! বিবার পরিবার: ছুটি কাটানোর ছবি, যা মন জয় করবে! আশ্চর্য মৃত্যু! আরিজোনার পাহাড়ে তরুণীর মৃত্যুরহস্য উন্মোচন! প্রকাশ্যে ভালোবাসার পরীক্ষা: ‘আলটিমেটাম’-এ এজে’র বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি! বিয়ের পোশাকে মুগ্ধতা! কোন তারকার কথা মনে রেখেছিলেন লরেন সানচেজ? রিহানার সঙ্গে র‍্যাটের প্যারিস সফর: ফ্যাশন শো’তে মাত করলেন মা ও ছেলে! লরেন সানচেজের বিয়ে: মহাকাশ যাত্রার ‘নীল’ রহস্য ফাঁস!

থেরাপি: বই পড়ার মাধ্যমে কিভাবে মানসিক শান্তি?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, March 24, 2025,

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বই পড়ার এক অভিনব উপায় হলো ‘বিবলিওথেরাপি’। এই পদ্ধতিতে, বই পড়াকে একটি থেরাপিউটিক বা চিকিৎসা-সংক্রান্ত পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা মানসিক শান্তির জন্য সহায়ক।

বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মানুষের মনকে শান্ত করার জন্য এই পদ্ধতির গুরুত্ব বাড়ছে। বিবলিওথেরাপির মূল ধারণা হলো বই পড়ার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো, আত্ম-উপলব্ধি বৃদ্ধি করা এবং জীবনের নতুন দিক খুঁজে বের করা।

বই আমাদের কল্পনার জগতে বিচরণ করতে সাহায্য করে, যা বাস্তব জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেয়। বইয়ের চরিত্রগুলোর সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে আমরা অনেক সময় নিজেদের আবেগগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি।

কোনো দুঃখের সময়ে বইয়ের গল্প আমাদের একাকীত্ব দূর করতে পারে, আবার আনন্দের মুহূর্তে বই আমাদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা নিয়মিত বই পড়েন, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। বই পড়ার সময় আমাদের মস্তিষ্ক অন্য চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি পায়, যা মানসিক শান্তির জন্য খুবই জরুরি।

বই পড়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারি, যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারিত করে এবং সহানুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কার এমিলি রাম্বল এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, গত ১৫ বছর ধরে তিনি তার রোগীদের জন্য বিবলিওথেরাপি প্রেসক্রাইব করছেন।

তিনি মনে করেন, বই আমাদের ভেতরের কথা শোনার সুযোগ করে দেয়। বই পড়ার সময় কোনো আবেগ অনুভব করলে, সেই অনুভূতিগুলো আমাদের নিজেদের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য দিতে পারে।

এছাড়াও, বইয়ের চরিত্রদের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক স্থাপন করে আমরা নিজেদের দুর্বলতা এবং শক্তি সম্পর্কে জানতে পারি। রাম্বল আরও যোগ করেন, বই পড়ার সময় একটি জার্নাল বা দিনলিপি রাখা ভালো, যেখানে আমরা নিজেদের উপলব্ধিগুলো লিখে রাখতে পারি।

আমাদের দেশেও বিবলিওথেরাপির ধারণা ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কিংবা হুমায়ূন আহমেদের মতো লেখকদের বই আমাদের মানসিক শান্তির জন্য দারুণ সহায়ক হতে পারে।

তাদের লেখা গল্প, উপন্যাস আমাদের জীবনের নানা দিক সম্পর্কে নতুন ধারণা দেয় এবং ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করে।

তবে, দ্রুত বই শেষ করার প্রবণতা ত্যাগ করা উচিত। বরং, ধীরে ধীরে প্রতিটি শব্দ উপভোগ করে বই পড়া উচিত।

এতে বই পড়ার আসল আনন্দ পাওয়া যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তাই, মানসিক শান্তির জন্য বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT