৬৫ বছর বয়সেও কি নায়ক হওয়া সম্ভব? হলিউডে রোমান্টিক কমেডি ছবিতে (Romcom) অভিনেতাদের বয়স নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি, বিশ্বখ্যাত অভিনেতা জর্জ ক্লুনি জানিয়েছেন, তিনি আর রোমান্টিক ছবিতে অভিনয় করতে চান না।
তাঁর বয়স এখন ৬৩ বছর। ক্লুনির মতে, এই বয়সে ২৫ বছর বয়সী নায়কদের সঙ্গে তাঁর ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ করা সম্ভব নয়।
বিষয়টি শুধুমাত্র ক্লুনির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং হলিউডে বয়সের কারণে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আসছে, ক্লুনির এই মন্তব্য তারই ইঙ্গিত দেয়। অনেকেই মনে করেন, রোমান্টিক কমেডি ছবিতে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর অভিনেতাদের আবেদন কমে যায়।
তাই নির্মাতারাও তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন।
তবে ক্লুনির এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বয়স্ক অভিনেতাদের রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ কমে যাচ্ছে?
উদাহরণ হিসেবে অনেকে হিউ গ্রান্টের কথা বলছেন। ৬৪ বছর বয়সী হিউ গ্রান্টকে সম্প্রতি ‘ব্রিজেট জোন্স: ম্যাড অ্যাবাউট দ্য বয়’ ছবিতে দেখা গেলেও, সেখানে তিনি মূল প্রেমিকের চরিত্রে ছিলেন না।
ম্যাথিউ ম্যাকনাহে-এর কথা ধরলে দেখা যায়, তাঁর শেষ রোমান্টিক ছবি ‘ঘোস্টস অফ গার্লফ্রেন্ডস পাস্ট’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০৯ সালে, যখন তাঁর বয়স ছিল ত্রিশের কোঠায়।
অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করেন, বয়স্ক অভিনেতাদের অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ রয়েছে।
হিউ গ্রান্ট রোমান্টিক কমেডি থেকে দূরে সরে এসে ‘প্যাডিংটন ২’ এবং ‘হেরিটিক’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন, যা তাঁর অভিনয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ম্যাথিউ ম্যাকনাহেও ‘ইন্টারস্টেলার’ এবং ‘ট্রু ডিটেকটিভ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
অভিনেত্রী এমা থম্পসনের উদাহরণ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। ৬৩ বছর বয়সে তিনি ‘গুড লাক টু ইউ, লিও গ্র্যান্ড’ ছবিতে অভিনয় করেছেন।
অনেকে মনে করেন, তাঁর অভিনয় প্রমাণ করে দেয়, বয়সের কারণে ভালো কাজের সুযোগ কমে যায়—এই ধারণা সবসময় সঠিক নয়।
তাহলে, এই বিতর্কের সমাধান কী? সম্ভবত, এর কোনো সহজ উত্তর নেই।
তবে, হলিউডে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং সুযোগ-সন্ধানী চরিত্র তৈরি হওয়া উচিত। বিশেষ করে, একজন অভিনেতাকে শুধুমাত্র তাঁর বয়সের ভিত্তিতে মূল্যায়ন না করে, তাঁর অভিনয় প্রতিভার প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান