মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিশেষ করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সময়, গুরুতর ভুলত্রুটি হলেও তা স্বীকার করার চেয়ে প্রতিরোধের কৌশল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সম্প্রতি, শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপ চ্যাটে সামরিক অভিযানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ হওয়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, যা সেই নীতিরই প্রতিফলন।
এই ঘটনায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর অভিযান বিষয়ক গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
হোয়াইট হাউজ বিষয়টিকে ‘গুজব’ হিসেবে অভিহিত করে এর গুরুত্ব কমাতে চাইছে। কর্মকর্তাদের এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ আমেরিকার ভাবমূর্তির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং শত্রুপক্ষের জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
যদিও এই ঘটনার জেরে এখনই শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদ হারানোর সম্ভাবনা কম, তবে এর ফল সুদূরপ্রসারী হতে পারে।
জানা গেছে, সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথসহ কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের মধ্যেকার আলোচনায় ইয়েমেনে সামরিক অভিযান সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আদান-প্রদান করেছেন। এর মধ্যে হামলার সময়, লক্ষ্যবস্তু এবং ব্যবহৃত অস্ত্রের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোও ছিল।
নিরাপত্তা বিষয়ক এমন গুরুতর গাফিলতি দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনাটি সাজানো এবং এর পেছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে, তথ্য ফাঁসের ফলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কর্মীরা ঝুঁকিতে পড়েছেন।
এছাড়াও, শত্রুপক্ষ এই তথ্য ব্যবহার করে আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে পারে।
এই ঘটনার জেরে অনেকেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কর্মকর্তাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে।
এমনকি, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনাও কম বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ট্রাম্প অনুগত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন