**মায়ামি ওপেনে অঘটন, ১৯ বছর বয়সী মেনসিকের কাছে হার মানলেন জোকোভিচ**
টেনিস বিশ্বে আবারও এক বড় চমক! মায়ামি ওপেনের ফাইনালে ১৯ বছর বয়সী চেক প্রজাতন্ত্রের তরুণ খেলোয়াড় ইয়াকুব মেনসিকের কাছে হেরে গেলেন সার্বিয়ান কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ৭-৬ (৪), ৭-৬ (৪) গেমে জয় পান মেনসিক। এই জয়ে তিনি যেমন নিজের প্রথম এটিপি খেতাব জয় করলেন, তেমনই হতাশ করলেন জোকোভিচকে, যিনি এই টুর্নামেন্ট জিতে ক্যারিয়ারের শততম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই যেন কিছুটা ছন্দহীন ছিলেন জোকোভিচ। বৃষ্টির কারণে খেলা দেরিতে শুরু হওয়ার পর তাঁর চোখে-মুখে ছিল ক্লান্তির ছাপ।
দ্বিতীয় গেমে একটি সহজ শট বাইরে মারেন, যা দেখে অনেকেই হতাশ হন। এরপর কোর্টে একবার পা পিছলে পরে যান তিনি।
এরপরও লড়াই চালিয়ে যান, কিন্তু মেনসিকের শক্তিশালী সার্ভের সামনে সুবিধা করতে পারেননি।
মেনসিক একাই ১৪টি এস (Ace) মারেন, যা তাঁর জয়ের পথে বড় ভূমিকা রাখে। টাইব্রেকারেও মেনসিক ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
ম্যাচ শেষে মেনসিক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি জানান, ছোটবেলায় জোকোভিচকে দেখেই টেনিস খেলার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি।
ট্রফি জয়ের পর মেনসিক বলেন, ‘আপনার (জোকোভিচ) কারণেই আমি টেনিস খেলা শুরু করেছি। একজন টেনিস খেলোয়াড়ের জন্য আপনার মতো কিংবদন্তীকে হারানো সবচেয়ে কঠিন।’
এই জয়ে মেনসিকের যাত্রা ছিল সত্যিই অসাধারণ। টুর্নামেন্টের আগে হাঁটুতে সামান্য চোট ছিল তাঁর। এমনকি প্রথম ম্যাচের আগে তিনি খেলতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়েও সন্দেহ ছিল।
তবে তাঁর ফিজিওর অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি মাঠে নামেন এবং জয় ছিনিয়ে আনেন।
অন্যদিকে, জোকোভিচ তাঁর হারের কারণ হিসেবে মেনসিকের অসাধারণ পারফরম্যান্সকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছি যে, আপনি ভালো খেলেছেন। কঠিন মুহূর্তে আপনি আপনার সেরাটা দিয়েছেন।’
এই হারে হয়তো জোকোভিচের মন খারাপ হয়েছে, তবে টেনিস প্রেমীরা পেয়েছে নতুন এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান