যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্ক, নির্বাসন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ও উদ্বেগের সৃষ্টি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে অভিবাসন নীতি কঠোর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে এই প্রক্রিয়া কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিদ্যমান দুর্বলতা প্রকাশ করেছে এবং এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি, দ্রুত নির্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে বেশ কিছু ভুল করার অভিযোগ উঠেছে, যা অনেককে হতাশ করেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে, সুরক্ষিত মর্যাদা পাওয়া একজন সালভাদরের নাগরিককে ভুল করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করারও অভিযোগ উঠেছে।
এর ফলে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে।
অভিযোগ উঠেছে, কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ তদন্ত ছাড়াই নির্বাসন করা হচ্ছে। অভিবাসন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর কর্মকর্তারা যদিও দাবি করেছেন যে, তারা প্রত্যেক ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য যাচাই বাছাই করেছেন, কিন্তু বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই তার প্রমাণ মেলেনি।
এমনকি, কিছু ক্ষেত্রে গ্যাং সদস্য সন্দেহে যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি।
এই ঘটনার জেরে বিচার বিভাগেও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের শুনানিতে বিচারকরা প্রশাসনের দ্রুততার সমালোচনা করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এত তাড়াহুড়ো করে নির্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাসিত অনেক ব্যক্তি গ্যাং সদস্য নন, বরং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং আইনজীবীরা মনে করেন, এই ধরনের ভুল পদক্ষেপের কারণে অনেক নির্দোষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা দ্রুত এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছেন এবং অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার দাবি জানিয়েছেন।
একইসাথে, ভবিষ্যতে যাতে এমন ভুল না হয়, সেদিকেও নজর রাখার কথা বলছেন তারা।
তথ্য সূত্র: সিএনএন