যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ব্রেট কাভানাফকে হত্যার চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী নিকোলাস রস্ক নামের ওই ব্যক্তি ২০২২ সালের জুনে বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানোর চেষ্টা করেন।
মঙ্গলবার মেরিল্যান্ডের একটি ফেডারেল আদালতে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। আদালতে বিচারক ডেবোরা বোর্ডম্যানের সামনে রস্ক জানান, তিনি বিচারপতি কাভানাফকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
শুনানিতে বিচারক ভুক্তভোগীকে ‘ভিকটিম ১’ হিসেবে উল্লেখ করেন, সরাসরি কাভানাফের নাম উচ্চারণ করেননি। রস্কের বিরুদ্ধে আনা একমাত্র অভিযোগ, একজন মার্কিন বিচারককে হত্যার চেষ্টা—তিনি তা স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন রস্ক একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি এবং তার সহায়ক কিছু সরঞ্জাম নিয়ে কাভানাফের মেরিল্যান্ডের বাড়িতে যান। তবে বিচারপতির নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর তিনি পিছিয়ে আসেন।
পরে তিনি তার বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং বোনের পরামর্শে হামলা না করে ৯১১ নম্বরে ফোন করেন।
আদালতের নথি অনুযায়ী, রস্কের এই পদক্ষেপের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ ছিল। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ ছিল, গর্ভপাত বিষয়ক ‘রো বনাম ওয়েড’ মামলার রায় বাতিলের খসড়া এবং বন্দুক অধিকার সম্প্রসারণের সম্ভাবনা।
গ্রেফতারের পর তিনি জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আত্মহত্যার কথা ভাবছিলেন। এই ঘটনার কারণে তিনি এতটাই উত্তেজিত হয়েছিলেন যে, কাভানাফকে হত্যা করে বিশ্বকে ভালো করার একটা ‘delusion’ তৈরি হয়েছিল তার মধ্যে।
রস্কের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় রস্ক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং তার জরুরি মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। আদালত সূত্রে খবর, দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রস্কের ৩০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
বিচারক জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবরের শুরুতে তার সাজা ঘোষণা করা হবে। ততদিন পর্যন্ত তাকে আটক রাখা হবে।
এই ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি হুমকি স্বরূপ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন