মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে নতুন বাবা-মায়ের জন্য দূর থেকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের মধ্যে তৈরি হওয়া বিতর্কের অবসান হয়েছে, তবে তা সম্পূর্ণ হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান আনা পাওলিনা লুনা ও হাউজ স্পিকার মাইক জনসনের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে।
এই সমঝোতার ফলে নতুন বাবা-মায়েরা সরাসরি ভোট দিতে না পারলেও, ভোট দেওয়ার একটি বিকল্প ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
জানা যায়, কংগ্রেসে নতুন বাবা-মায়ের জন্য দূর থেকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাবটি এনেছিলেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান আনা পাওলিনা লুনা।
ডেমোক্রেট দলের সদস্যরাও এই প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন।
কিন্তু হাউজ স্পিকার মাইক জনসন প্রথমে এর বিরোধিতা করেন।
পরে তিনি ও লুনা একটি সমঝোতায় আসেন।
এই সমঝোতা অনুযায়ী, ‘ভোট-পেয়ারিং’ নামে পরিচিত একটি পুরনো পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হবে।
এই পদ্ধতিতে, কোনো সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন, তবে তিনি অন্য একজন সদস্যের সঙ্গে মিলিত হয়ে তাদের ভোট বাতিল করতে পারবেন।
তবে ডেমোক্রেটরা এই সমঝোতায় খুশি নন।
তাদের মতে, এটি একটি প্রতীকী ব্যবস্থা, যা নতুন বাবা-মায়ের জন্য উপযুক্ত নয়।
বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিলের ক্ষেত্রে, এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে না।
কলোরাডোর ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান ব্রিটানি পিটারসেন বলেন, বাজেট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভোটের ক্ষেত্রে এই ‘ভোট-পেয়ারিং’ ব্যবস্থা কাজে আসবে না।
তার মতে, এটি একটি ‘ভুয়া’ প্রচেষ্টা।
এদিকে, আনা পাওলিনা লুনা জানিয়েছেন, স্পিকার জনসন এর আগে এমন একটি মন্তব্য করেছিলেন যে নতুন বাবা-মায়ের জন্য দূর থেকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাবের কারণে প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি করা যাচ্ছে না।
তবে লুনা জানান, জনসন তার এই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
প্রতিনিধি পরিষদে এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ডেমোক্রেটরা মনে করছেন, এই সমঝোতা তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তারা চান, নতুন বাবা-মায়েরা যেন সরাসরি ভোট দিতে পারেন।
অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা বলছেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসা গেছে।
তবে এই বিতর্কের জেরে মার্কিন রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন