যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার ফলে বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন শিল্পে যে প্রভাব পড়তে চলেছে, তার আঁচ এসে লেগেছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পেও।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্কের বোঝা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্য নতুন শুল্ক হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ শুল্ক।
এই শুল্ক হার চীনের ক্ষেত্রে ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়াতেও শুল্কের হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাকের বাজার।
দেশটির এই সিদ্ধান্তের ফলে, সেখানকার ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের ওপর বাড়তি খরচ চাপবে।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্র তার চাহিদার ৯৮ শতাংশ পোশাক এবং ৯৯ শতাংশ জুতা আমদানি করে থাকে।
ফলে, শুল্ক বাড়ানো হলে পোশাকের দাম বাড়তে পারে, যা ভোক্তাদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই শুল্ক বৃদ্ধির কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
অনেক কোম্পানি এরই মধ্যে তাদের সরবরাহকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবং খরচ কমানোর চেষ্টা করছে।
এতে করে টেক্সটাইল মিল ও কৃষকদের ওপরও দাম কমানোর চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, তৈরি পোশাক শিল্প (RMG) বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি প্রধান চালিকাশক্তি।
দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে এই খাত থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক বাড়ানো হলে, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এতে করে রপ্তানি কমে যাওয়া, কারখানার উৎপাদন কমে যাওয়া এবং শ্রমিকদের মজুরিতে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
নতুন বাজার খোঁজা, উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিগুলোর ওপর জোর দেওয়া যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন