বদনাভাগ্যক্রমে উদ্ধার হওয়া: পর্তুগালের বিমানবন্দরে আইপ্যাড চুরির পর চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
পর্তুগালের পোর্তো বিমানবন্দরে এক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর আইপ্যাড চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে তাৎক্ষণিক তৎপরতায় সেই আইপ্যাড উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
কিভাবে? আসুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ওই শিক্ষার্থী, যিনি একইসাথে সাংবাদিকতার সাথেও জড়িত, ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন পর্তুগালে। ছুটি শেষে দেশে ফেরার প্রাক্কালে পোর্তো বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় তার আইপ্যাডটি চুরি হয়ে যায়। দ্রুত তিনি বুঝতে পারেন তার মূল্যবান ডিভাইসটি খোয়া গেছে।
আইপ্যাডে তার মেডিকেল স্কুলের চার বছরের নোট এবং অসমাপ্ত লেখার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল।
আতঙ্কিত হয়ে তিনি সাথে সাথে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের বিষয়টি জানান। প্রথমে তারা বিষয়টি সেভাবে আমলে না নিলেও, পরে ওই শিক্ষার্থীর জোরালো আবেদনে নিরাপত্তা কর্মীরা পুনরায় তার ব্যাগ স্ক্যান করেন।
স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া যায়, আইপ্যাডটি চুরি হয়েছে। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ এসে যখন তদন্ত শুরু করে, ততক্ষণে তাদের হাতে সময় খুবই কম। কারণ তাদের ফ্লাইট ছাড়তে তখনও ৪৫ মিনিটের মতো বাকি। এমন পরিস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থী তার আইপ্যাড খুঁজে বের করতে ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ অ্যাপের সাহায্য নেন।
অ্যাপের মাধ্যমে তিনি দেখতে পান, তার আইপ্যাড বিমানবন্দরের অন্য প্রান্তে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পুলিশের সহায়তায় তিনি সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেন। সেখানে দেখা যায়, একজন বয়স্ক লোক এবং তার সাথে একটি ছোট ছেলে আইপ্যাডটি নিয়ে যাচ্ছে।
তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফ্লাইট ছাড়তে তখনো সময় প্রায় ৩০ মিনিট। ওই শিক্ষার্থীর পরিবার দ্রুত পাসপোর্ট কন্ট্রোল পার হয়ে যায়, কিন্তু তিনি, তার বাবা ও প্রেমিক পুলিশের সাথে মিলে আইপ্যাডের লোকেশন অনুসরণ করতে থাকেন। তারা জানতে পারেন, আইপ্যাডটি বিমানবন্দরের অন্য একটি অংশে, সম্ভবত একটি উড়োজাহাজে রয়েছে।
পুলিশের তৎপরতা এবং বিমানবন্দরের কর্মীদের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত ওই উড়োজাহাজ থেকে আইপ্যাডটি উদ্ধার করা হয়। অল্পের জন্য তারা রক্ষা পান।
উড়োজাহাজ ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে আইপ্যাডটি উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে দ্রুত অপরাধ শনাক্ত করা যায়, সেই বিষয়টি সামনে এসেছে।
এছাড়াও, ভ্রমণের সময় মূল্যবান জিনিসপত্রের নিরাপত্তা এবং সচেতনতা সম্পর্কেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।