রিচার্ড বার্টন, বিশ্বখ্যাত এই অভিনেতার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা ‘মি. বার্টন’। ওয়েলসের কয়লাখনি অঞ্চলের এক দরিদ্র কিশোর রিচার্ডের (হ্যারি লওটেই) অভিনেতা হয়ে ওঠার পেছনে ছিলেন এক শিক্ষক, ফিলিপ বার্টন (টোবি জোন্স)। সিনেমার গল্প সেই শিক্ষকের চোখে রিচার্ডের বেড়ে ওঠা এবং প্রতিভার বিকাশের কাহিনী।
১৯২৫ সালে, দক্ষিণ ওয়েলসের পোর্ট টালবটে জন্ম নেওয়া রিচার্ড জেনকিন্স নামের এক বালকের মধ্যে অভিনয়ের সম্ভাবনা প্রথম খুঁজে পান শিক্ষক ফিলিপ বার্টন। টোবি জোন্স-এর অনবদ্য অভিনয়ে শিক্ষক ফিলিপ বার্টনের চরিত্রটি যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
সমাজের চোখে গোপন থাকা একজন সমকামী মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শক এবং সমালোচক সকলের মন জয় করেছেন। যদিও ছবিতে রিচার্ড বার্টনের কিশোর বয়সের চরিত্রে হ্যারি লওটেই-কে কিছুটা বয়স্ক মনে হয়েছে, তবে বার্টনের চরিত্রে তার অভিনয় মুগ্ধ করার মতো।
ছবিটির গল্প বলার ধীর গতি এবং সাদামাটা দৃশ্যধারণ অনেকের কাছেই হতাশাজনক মনে হয়েছে। যদিও পিয়ানো-নির্ভর সঙ্গীত ছবিটির আবহ তৈরি করেছে, তবুও যেন কোথাও একটা ঘাটতি থেকে যায়।
একজন শিক্ষকের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনায় কীভাবে একজন সাধারণ কিশোর অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, সেই গল্পটি দর্শককে নাড়া দিলেও, ছবির নির্মাণশৈলী অনেককে হতাশ করেছে।
মোটকথা, ‘মি. বার্টন’ ছবিতে রিচার্ড বার্টনের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে একজন শিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য। তবে, ছবির নির্মাণশৈলী এবং গল্পের ধীর গতি অনেক দর্শকের কাছে উপভোগ্য নাও হতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান