পিরোজপুর কাউখালী উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে আমরাজুড়ী ইউনিয়ন বিএনপির নিজেদের ভিতরে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।
উক্ত ঘটনা মীমাংসা হওয়ার ১৭দিন পরে উদ্দেশ্য প্রণীত হয়ে একটি কুচক্রী মহল বিএনপি’র নিজেদের ভিতরের এই ভুল বোঝাবুঝিকে পুঁজি করে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দুইটি অনলাইন পত্রিকায়
“কথা না মানায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাবি নিয়ে গেল বিএনপি নেতা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
যার দোকানের চাবি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে কাউখালী উপজেলার আমরাজুড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সম্পাদক মোঃ লিমন তালুকদার তাৎক্ষণিকভাবে মিথ্যা মন গড়া সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত প্রতিবাদ দিয়েছেন।
লিমন বলেন, কথা না মানায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাবি নিয়ে গেল বিএনপি নেতা” শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যার নাম বলা হয়েছে তিনি কাউখালী উপজেলার বিএনপির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। যাহা খুবই দুঃখ জনক। গত মার্চ মাসের ২৪তারিখ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের দলের কিছু লোকজনের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হলে আমি না থাকা অবস্থায় তারা দোকানের চাবি নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস,এম আহসান কবিরকে জানানো হলে তিনি ঢাকায় থাকার কারনে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে দলীয় নেতা কর্মীদের বিষয়টি অবহিত করেন যে, আমি ঢাকা থেকে এসে বিষয়টি সমাধান করে দিবো। গত ২৭ এপ্রিল তারিখ তিনি ঢাকা থেকে এসে বিষয়টি আলাপ আলোচনা করে উভয় পক্ষের ভুল বুঝাবুঝির অবসান করে দেন। এতে আমাদের দলের উভয় পক্ষ সন্তষ্ট হই। এতো দিন পরে এ ধরনের মনগড়া সংবাদের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি আশা করবো এ ধরনের সংবাদ যাতে পরবর্তীতে কোন অনলাইন, প্রিন্ট কিংবা ইলেকট্রিক মিডিয়ায় প্রকাশিত না হয় তার জন্য সকল সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করছি।
কাউখালী উপজেলা বিএনপিকে কেন্দ্র করে ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামে এ ধরনের মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদপত্র প্রকাশিত করে হেয় প্রতিপন্ন করায় কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম আহসান কবির, সদস্য সচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মিয়া, যুগ্ন আহবায়ক জিয়াউল হাসান নিক্সন, বদরুদ্দোজা মিয়া, সৈয়দ বাহাউদ্দিন পলিন, গিয়াস উদ্দিন অলি, লিয়াকত হোসেন তালুকদার, রফিকুল ইসলাম রফিক, কাউখালী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মামুন, সদস্য সচিব শারিফুল আজম সোহেল, শ্রমিক দলের সভাপতি আবু তাহের বেপারি, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান ফিরোজ, সদস্য সচিব রাকিব তালুকদার, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল মাহমুদ সুমন, সদস্য সচিব সোয়াইব সিদ্দিক, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ফারুক হোসেন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার, উপজেলা মৎস্যদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মন্টু, সদস্য সচিব জিয়াউর রহমান, উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক মোসাঃ নুরুন্নাহার বেগম, সদস্য সচিব শামীমা বেগম নূপুর, তাতী দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সেলিম হোসেন, উপজেলা জাসাসের আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান। তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাউখালী উপজেলা বিএনপি’র বিরুদ্ধে এ সকল ষড়যন্ত্র সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবেন বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।