আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার ২০২৫: সংক্ষিপ্ত তালিকায় সাহিত্য জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্ররা।
আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের ২০২৫ সালের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে স্থান পেয়েছেন খ্যাতিমান লেখক ও অনুবাদকদের ছয়টি দল। এই তালিকায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো, পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া সবগুলো বই-ই এসেছে স্বাধীন প্রকাশনা সংস্থা থেকে। সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য এটি একটি দারুণ খবর, কারণ এর মাধ্যমে ভিন্ন ধারার সাহিত্যকর্ম পাঠকদের কাছে পৌঁছাবে।
এ বছর মনোনীত হওয়া বইগুলো মানুষের মনকে নাড়া দেয় এমন সব বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সময়, স্মৃতি এবং সমাজের প্রতিচ্ছবি। বিজয়ীদের জন্য রয়েছে ৫০,০০০ পাউন্ডের (যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় [বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী টাকার পরিমাণ]) পুরস্কার, যা লেখক এবং অনুবাদকের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। আগামী ২০শে মে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
তালিকায় স্থান পাওয়া বইগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভাষা থেকে অনূদিত সাহিত্যকর্ম। জাপানি লেখিকা হিরোমি কাওয়াকামি-র ‘আন্ডার দ্য আই অফ দ্য বিগ বার্ড’ (অনুবাদক: আসা ইয়োনেদা), ডেনমার্কের লেখক সলভেই বাল্লে-র ‘অন দ্য ক্যালকুলেশন অফ ভলিউম ১’ (অনুবাদক: বারবারা জে হাভেল্যান্ড), ইতালীয় লেখক ভিনসেঞ্জো ল্যাট্রোনিকো-র ‘পারফেকশন’ (অনুবাদক: সোফি হিউজ), ফরাসি লেখক ভিনসেন্ট দেলক্রোয়া-র ‘স্মল বোট’ (অনুবাদক: হেলেন স্টিভেনসন), এবং কান্নার ভাষার (ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি ভাষা) লেখক বানু মুশতাক-এর ‘হার্ট ল্যাম্প’ (অনুবাদক: দীপা ভাসথি)। এছাড়াও, ফরাসি লেখিকা অ্যান সের-এর ‘এ লেপার্ড-স্কিন হ্যাট’ (অনুবাদক: মার্ক হাচিনসন) সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কান্নার ভাষা থেকে অনূদিত একটি বই প্রথমবারের মতো এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এটি সাহিত্য জগতে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের সাহিত্যকর্মের গুরুত্ব বৃদ্ধি করে। এই তালিকায় জায়গা পাওয়া ‘হার্ট ল্যাম্প’ বইটি মূলত নারীদের জীবন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি নিয়ে লেখা ১২টি গল্পের একটি সংগ্রহ, যা ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছিল।
বিচারকদের মধ্যে ছিলেন লেখক ও বিচারক বোর্ডের প্রধান ম্যাক্স পোর্টার, কবি ক্যালেব ফেমী, লেখক ও দ্য গার্ডিয়ানের সমালোচক সানা গোয়েল, লেখক ও অনুবাদক আন্তন হুর, এবং সঙ্গীতশিল্পী বেথ অর্টন।
এই পুরস্কারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সাহিত্য আরও সমৃদ্ধ হবে এবং পাঠকেরা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।