যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির শীর্ষ সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত এড মার্টিনের নিয়োগ নিয়ে রিপাবলিকান সিনেটরদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বিধা। সিনেটে তার মনোনয়ন অনুমোদনের আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন তারা।
মার্টিনের অতীত কিছু মন্তব্য এবং কাজের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, রিপাবলিকান দলের কয়েকজন প্রভাবশালী সিনেটর মনে করছেন, মার্টিন যদি এই পদে বহাল হন, তাহলে ভবিষ্যতে এর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, গত ৬ই জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে তার করা কিছু বিতর্কিত মন্তব্য তাদের উদ্বেগের কারণ।
সিনেটর থম টিলিসের মতে, মার্টিনের মনোনয়ন নিয়ে তার ‘গুরুতর প্রশ্ন’ রয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি মার্টিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান।
ওয়াশিংটন ডিসির সরকারি কৌঁসুলির পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদে আসীন ব্যক্তি জেলার প্রধান আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন এবং ফেডারেল আদালতে গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেন। এই পদের জন্য সাধারণত সিনেটে শুনানির প্রয়োজন হয় না, তবে ডেমোক্র্যাটরা মার্টিনের বিষয়ে শুনানির দাবি জানালে রিপাবলিকানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে।
এড মার্টিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এবং কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এমনকি তিনি ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
এছাড়া, তিনি বিভিন্ন ডানপন্থী গণমাধ্যম এবং রাশিয়ান সংবাদমাধ্যমেও নিয়মিত হাজির হয়েছেন, যা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মার্টিনের মনোনয়ন পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কারণ তিনি অতীতে রিপাবলিকান দলের অনেক সদস্যের সমালোচনা করেছেন। এমনকি কয়েকজন সিনেটরকে তিনি ‘দেশদ্রোহী’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, মার্টিনের সমর্থকরা তার মনোনয়ন নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন সিনেটরের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। তবে, মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে মার্টিনকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে, কারণ তার অতীতের কিছু কর্মকাণ্ড এবং মন্তব্যের কারণে সিনেটরদের মধ্যে দ্বিধা কাটছে না।
সূত্র মারফত জানা যায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো মার্টিনের প্রতি সমর্থন বজায় রেখেছেন।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।