ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে ওয়াল স্ট্রিটের সন্দেহ, যা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে গভীর অনাস্থা। শুল্ক নীতিতে আকস্মিক পরিবর্তন এবং কর কমানো ও নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, বাজারের অস্থিরতা কমেনি, বরং তা আরও বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ওয়াল স্ট্রিটের এমন প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের কারণ।
গত বুধবার, ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন আনে। এর ফলে, শেয়ার বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, বৃহস্পতিবার আবার বড় ধরনের দরপতন হয়।
ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ এক দিনে ১,২০০ পয়েন্টের বেশি কমে যায়, এবং এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকও মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তেলের দামও কমেছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের এই প্রতিক্রিয়ার মূল কারণ হলো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতি আস্থার অভাব।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির ধারাবাহিকতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
তারা মনে করছেন, যেকোনো মুহূর্তে নীতি পরিবর্তন হতে পারে, যা তাদের বিনিয়োগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। এমনকি, মূল্যস্ফীতি হ্রাসের মতো ইতিবাচক খবরও বাজারের উপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।
ওয়াল স্ট্রিটের এই অস্থিরতা বাংলাদেশের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নীতি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব বিশ্ব বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং পণ্যের দামে প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মন্দা, যা আস্থার অভাবে সৃষ্টি হতে পারে, বাংলাদেশের রপ্তানি চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিটের এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে যে, বিশ্ব অর্থনীতিতে আস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে সুনির্দিষ্ট এবং দীর্ঘমেয়াদী নীতি গ্রহণ করা অপরিহার্য।
তথ্য সূত্র: সিএনএন