বিমান সংস্থা আমেরিকান এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটে বিনামূল্যে ওয়াইফাই (Wi-Fi) পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই সুবিধা পাওয়া যাবে এবং এর মাধ্যমে যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
এই পরিষেবাটি এয়ারলাইন্সের আনুগত্য প্রোগ্রামের সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। খবর অনুযায়ী, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বহরের প্রায় ৯০ শতাংশ বিমানেই এই ওয়াইফাই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
বর্তমানে, আমেরিকান এয়ারলাইন্স ছিল এমন কয়েকটি মার্কিন বিমান সংস্থার মধ্যে অন্যতম, যারা ওয়াইফাই ব্যবহারের জন্য চার্জ নিতো। তাদের ওয়েবসাইটে ফ্লাইট ভেদে ১০ ডলার (প্রায় ১,১০০ টাকা) থেকে শুরু করে বার্ষিক ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত মূল্যে ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ ছিল।
তবে, নতুন এই ঘোষণার ফলে তাদের যাত্রীদের জন্য একটি বড় সুবিধা যোগ হচ্ছে।
অন্যান্য বিমান সংস্থা, যেমন- ডেল্টা এয়ারলাইন্স, ২০২৩ সালে তাদের বেশিরভাগ ফ্লাইটে বিনামূল্যে ওয়াইফাই চালু করেছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সও সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের ফ্লাইটে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ব্যবহার করবে এবং এই বছরের শেষ নাগাদ তাদের কিছু বিমানে এই সুবিধা যুক্ত হবে।
জেটব্লু (JetBlue) ২০১৩ সাল থেকে এই সুবিধা দিয়ে আসছে।
আগে, বিমানে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায়শই ধীরগতির কারণে সমস্যা সৃষ্টি করত। তবে, স্যাটেলাইট সরবরাহকারী এবং বিমান সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত এক দশকে এই প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, এ পরিষেবার খরচ কমাতে সহায়তা করবে AT&T নামক একটি কোম্পানি।
বিমানগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারের ধারণাটি নতুন নয়। ২০০৩ সালে বোয়িং (Boeing) তাদের ‘কনেকশন’ (Connexion) পরিষেবা চালু করেছিল, কিন্তু বাজার প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া না পাওয়ায় ২০০৬ সালে তা বন্ধ করে দেয়।
এই পরিবর্তনের ফলে এখন আমেরিকান এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা তাদের ভ্রমণের সময় আরও সহজে ইন্টারনেটের সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।