প্রেমের পুনর্জন্ম: জীবনের পড়ন্ত বেলায় নতুন করে বাঁচার গল্প
ষাটের কোঠায় পৌঁছে যাওয়া নিক এবং লিলি- তাদের জীবনের গল্প যেন এক অন্যরকম মোড় নিয়েছে। চল্লিশ বছর আগে বিচ্ছেদের পর, তারা আবার ফিরে এসেছেন কাছাকাছি। পুরনো প্রেম ফিরে পাওয়ার এই গল্প, একদিকে যেমন ভালোবাসার গভীরতা বোঝায়, তেমনই জীবনের কঠিন কিছু সিদ্ধান্তের মুখোমুখি দাঁড় করায় তাদের।
নিক, ৬৪ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি, যিনি প্রায় ৩০ বছর সংসার করার পর, এক সন্ধ্যায় তার পুরোনো ভালোবাসার মানুষ, লিলিকে খুঁজে পান। বন্ধুদের সাথে এক আড্ডায় পুরনো প্রেম নিয়ে কথা বলার পরেই, তিনি লিলিকে ফেসবুকে খুঁজে বার্তা পাঠান। সেই বার্তার উত্তর পাওয়ার পরেই যেন তাদের জীবন নতুন করে শুরু হয়।
অন্যদিকে, লিলিও ছিলেন বিবাহিত। তাদের দুজনেরই দাম্পত্য জীবন ছিল নীরস। নিকের প্রথম বার্তা পাওয়ার পর, লিলি যেন নতুন করে বাঁচতে শুরু করেন। তাদের মধ্যে আবার ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা নিয়মিতভাবে দেখা করতে শুরু করেন।
কিন্তু তাদের এই পুনর্মিলন কি এত সহজ? নিক চান লিলির সাথে নতুন করে সংসার বাঁধতে। তিনি চান, লিলি তার বর্তমান সম্পর্ক ত্যাগ করে, তার সাথে বাকি জীবন কাটাক। কিন্তু লিলি, যিনি জীবনের এই প্রান্তে এসে নতুন করে সবকিছু শুরু করতে ভয় পাচ্ছেন, দ্বিধায় আছেন। একদিকে, ভালোবাসার মানুষটির সাথে সারা জীবন কাটানোর স্বপ্ন, অন্যদিকে, এত বছরের পরিচিত জীবনকে হঠাৎ করে বদলে দেওয়ার অনিশ্চয়তা।
নিকের স্ত্রীর কাছে তাদের সম্পর্কের কথা জানা, কিন্তু তিনি এই সম্পর্ককে মেনে নিয়েছেন। তিনি তাদের সম্পর্কে কোনো বাধা দিতে চান না, কারণ তিনি আর্থিক এবং সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভাবেন। লিলিও তার স্বামীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে ভালোবাসার গভীরতা নেই।
এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী? নিক চান লিলি তার জীবনসঙ্গী হোক, কিন্তু লিলি সেই ঝুঁকি নিতে ভয় পাচ্ছেন। তাদের এই দ্বিধা, ভালোবাসার গভীরতা এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতার এক দারুণ উদাহরণ।
নিক মনে করেন, লিলির সাথে বাকি জীবন কাটানোটা হবে এক দারুণ অভিজ্ঞতা। কিন্তু লিলি সম্ভবত এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত নন। তাদের এই সম্পর্ক, ভালোবাসার গভীরতা এবং জীবনের নানা জটিলতা নিয়ে আসা এক নতুন দিগন্ত।
এই গল্পের মাধ্যমে, আমরা জীবনের দ্বিতীয় সুযোগ এবং ভালোবাসার গুরুত্ব অনুভব করি। একই সাথে, জীবনের এই পর্যায়ে এসে, পুরোনো অভ্যাস ভেঙে নতুন পথে হাঁটার দ্বিধা ও ভয়ের চিত্রও ফুটে ওঠে।
তথ্য সূত্র: The Guardian