লেস্টার সিটি: প্রিমিয়ার লীগ থেকে অবনমন নিশ্চিত, হতাশায় সমর্থকেরা
বৃষ্টিভেজা এক দুপুরে, যখন আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা, লেস্টার সিটির ফুটবল ইতিহাসে যুক্ত হলো একটি বেদনার দিন। তাদের প্রিমিয়ার লীগ (Premier League) থেকে চ্যাম্পিয়নশিপে (Championship) অবনমন নিশ্চিত হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লিভারপুলের (Liverpool) কাছে ০-১ গোলে হারের পরই যেন সব শেষ হয়ে যায়। ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের (Trent Alexander-Arnold) করা একমাত্র গোলটি কেড়ে নেয় তাদের শীর্ষ লীগে টিকে থাকার স্বপ্ন।
ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের পরিবেশ ছিল থমথমে। পরাজয় যেন ছিল পূর্বনির্ধারিত।
পুরো মৌসুম জুড়েই দলের পারফরম্যান্স ছিল খুবই হতাশাজনক। বড় দলগুলোর বিপক্ষে যেমন তারা সুবিধা করতে পারেনি, তেমনি ছোট দলগুলোর বিরুদ্ধেও ছিল তাদের ভরাডুবি।
ক্রিসমাসের তিন দিন আগে উলভসের (Wolves) কাছে ৩-০ গোলে হারের পরই যেন অবনমনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
লেস্টারের এমন খারাপ পারফরম্যান্সের পেছনে অনেক কারণ ছিল।
খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় না পাওয়া, এবং কৌশলগত দুর্বলতা তাদের ডুবিয়ে দেয়। মাঠের খেলায় যেমন হতাশা ছিল, তেমনি মাঠের বাইরের চিত্রও ছিল উদ্বেগের।
ক্লাবের ব্যবস্থাপনার কিছু সিদ্ধান্তও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
দলটির সাবেক ম্যানেজার স্টিভ কুপারকে (Steve Cooper) বরখাস্ত করার পরেও যেন পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
রুড ভ্যান নিস্টেলরয়ের (Ruud van Nistelrooy) অধীনেও দলের পারফরম্যান্সে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) হয়ে একজন স্ট্রাইকার হিসেবে রুডের গোল করার গড় ছিল প্রতি ১২৮ মিনিটে একটি, কিন্তু লেস্টারের হয়ে তিনি প্রতি ১৬৪ মিনিটে একটি গোল করেছেন।
এছাড়া, দলের রক্ষণভাগেও ছিল দুর্বলতা।
এই অবনমন লেস্টার সিটির জন্য একটি বড় ধাক্কা। এর ফলে তারা যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তেমনি শীর্ষ লীগে খেলার সুযোগও হারাবে।
এখন তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো নতুন করে দল গঠন করা এবং দ্রুত চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রমাণ করা।
খেলা শেষে অনেক সমর্থককেই হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়।
আগামী মৌসুমে তাদের দ্বিতীয় বিভাগে খেলতে হবে, যা তাদের জন্য অনেক বড় একটি পরিবর্তন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান