টেক্সাসের একটি ওয়ালমার্টে ২০১৯ সালে সংঘটিত নৃশংস বন্দুক হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড এড়াতে দোষ স্বীকার করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এল পাসো শহরের এই ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছিলেন, যা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ একটি বন্দুক হামলার ঘটনা।
সোমবার অভিযুক্ত প্যাট্রিক ক্রুসিয়াসের একটি আদালতের শুনানিতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার কথা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, শ্বেতাঙ্গ ক্রুসিয়াস জাতিগত বিদ্বেষ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই হামলা চালিয়েছিল। হামলার সময় তিনি সীমান্ত শহর এল পাসোর একটি ওয়ালমার্টে নির্বিচারে গুলি চালান।
নিহতদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিও ছিলেন। এদের মধ্যে অনেকে ছিলেন মেক্সিকান নাগরিক।
আদালতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্রুসিয়াস যদি দোষ স্বীকার করেন, তাহলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে এবং সম্ভবত প্যারোলের সুযোগও থাকবে না।
এর আগে, ফেডারেল আদালতে ঘৃণা ও অস্ত্র বিষয়ক অপরাধের জন্য ক্রুসিয়াসকে ৯০টি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্য দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি চান বলেই তারা মৃত্যুদণ্ডের পথে যাননি।
ক্রুসিয়াসের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেল স্কিজোঅ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার নামক মানসিক রোগে ভুগছেন। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভ্রম, বিভ্রান্তি ও মানসিক অস্থিরতার শিকার হন।
আইনজীবীর দাবি, ক্রুসিয়াস দীর্ঘদিন ধরে এই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।
ঘটনার দিন, ক্রুসিয়াস ডালাস শহরের কাছে তার বাড়ি থেকে ১১০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়ে এল পাসোতে এসেছিলেন।
অনলাইনে একটি বিদ্বেষপূর্ণ বার্তা পোস্ট করার পরেই তিনি এই হামলা চালান, যেখানে তিনি হিস্পানিক ‘অনুপ্রবেশ’-এর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এই মামলার রায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য কতটা কষ্টের, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফেডারেল আদালতে শুনানির সময় ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন, যা সেখানকার পরিবেশকে আরও ভারী করে তুলেছিল।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস