যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত একটি অভিবাসন কেন্দ্রে প্রবেশকে কেন্দ্র করে ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারের এই ঘটনায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (DHS) আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে একটি ICE (Immigration and Customs Enforcement) কেন্দ্রে ‘জোর করে প্রবেশের’ অভিযোগ এনেছে।
অন্যদিকে, আইনপ্রণেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানা গেছে, নিউ জার্সির কয়েকজন ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান স্থানীয় একটি ICE ডিটেনশন সেন্টারে পরিদর্শনে যান।
এই সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় মেয়র রাস বারাকা। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কংগ্রেস সদস্যদের সরকারি সুবিধা পরিদর্শনের অধিকার রয়েছে এবং তাঁদের আগে থেকে এই পরিদর্শনের কথা জানানোরও প্রয়োজন নেই।
এই অধিকারবলে তাঁরা ডিটেনশন সেন্টারে প্রবেশ করতে গেলে বাধার সৃষ্টি হয়। ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন কর্মকর্তারা মেয়র বারাকাকে আটক করতে যান।
এর পরেই দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে মেয়র বারাকাকে কয়েক ঘণ্টার জন্য আটক করা হয়, যদিও পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনপ্রণেতারা ডিটেনশন সেন্টারে ‘জোর করে প্রবেশ’ করেছেন।
DHS-এর সহকারী সচিবের মতে, আইনপ্রণেতাদের এই ধরনের কাজ ‘রাজনৈতিক স্টান্ট’ ছাড়া আর কিছুই নয় এবং এর মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সেখানে আটককৃতদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইনপ্রণেতারা DHS-এর এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। কংগ্রেসওম্যান বনি ওয়াটসন কোলম্যান এক বিবৃতিতে জানান, তাঁরা ডিটেনশন সেন্টারে ‘জোর করে প্রবেশ’ করেননি।
DHS পরবর্তীতে তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানায়, “সীমান্ত সুরক্ষিত থাকার অর্থ এই নয় যে আপনারা নতুন দেয়াল তৈরি করতে পারবেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, তাঁদের কাছে এমন কিছু ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, যা আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে।
DHS-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই এই ফুটেজ প্রকাশ করা হবে। ভিডিওতে দেখা যেতে পারে, কিভাবে কয়েকজন আইনপ্রণেতা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেছেন।
এমনকী, একজন নারী ICE কর্মকর্তাকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। তবে এই ঘটনার জেরে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মেয়র বারাকাকে কেন আটক করা হয়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও মেয়র জানিয়েছেন, তিনি কোনো আইন ভঙ্গ করেননি এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন