সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে হ্যারি লাইটনের নতুন সিনেমা ‘পিলিয়ন’। সিনেমাটি ভালোবাসা, সম্পর্কের জটিলতা এবং আত্ম-অনুসন্ধানের এক ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে।
গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কোলিন নামের এক লাজুক যুবক। সে পেশায় একজন ট্রাফিক পুলিশ। একদিন তার সাক্ষাৎ হয় আকর্ষণীয় এবং প্রভাবশালী বাইকার রে-এর সঙ্গে। রে-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলেকজান্ডার স্কার্সগার্ড। রে-এর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব কোলিনের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
তাদের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কটি প্রচলিত ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গভীরে চলে যায়। এখানে ভালোবাসার সংজ্ঞা, আনুগত্য, এবং ইচ্ছার স্বাধীনতা নতুন রূপে উন্মোচিত হয়।
কোলিনের চরিত্রে হ্যারি মেলিং-এর অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করে। কোলিন চরিত্রে তিনি এতটাই সাবলীল ছিলেন যে, চরিত্রটির দুর্বলতা এবং দ্বিধা অনায়াসে ফুটিয়ে তুলেছেন। অন্যদিকে, রে-এর চরিত্রে আলেকজান্ডার স্কার্সগার্ড-এর অভিনয় ছিল দারুণ।
সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তিনি ছিলেন উজ্জ্বল।
সিনেমাটিতে কোলিনের পরিবারের সদস্যদেরও দেখা যায়। তার বাবা-মা, বিশেষ করে ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক গভীর ভালোবাসার চিত্র তুলে ধরে। মায়ের চরিত্রে লেসলি শার্প-এর অভিনয় হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
তাদের পারিবারিক জীবন এবং কোলিনের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা, দুটি বিষয়ই গল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
‘পিলিয়ন’ একটি সাহসী সিনেমা, যা সম্পর্কের জটিলতা এবং মানুষের ভেতরের লুকানো আকাঙ্ক্ষাগুলো নিয়ে কথা বলে। সিনেমাটি প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং ভালোবাসার ভিন্ন রূপ উন্মোচন করে।
তবে, কিছু দৃশ্যে ভিন্ন ধরনের সম্পর্কের গভীরতা ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে সমাজের কিছু মানুষের কাছে হয়তো তা বিতর্কিত মনে হতে পারে।
সবকিছু মিলিয়ে, ‘পিলিয়ন’ একটি সিনেমাপ্রেমীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। যারা সম্পর্কের ভিন্ন দিকগুলো অনুভব করতে চান, তাদের জন্য ছবিটি একটি আকর্ষণীয় মাধ্যম হতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান