মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেটাস্ট্যাটিক প্রোস্টেট ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ায় বিষয়টি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে, এই খবরে আতঙ্কিত না হয়ে বরং প্রোস্টেট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা জরুরি।
বিশেষ করে, পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি সম্পর্কে জানা এবং এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে অবগত থাকা প্রয়োজন। আসুন, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রোস্টেট ক্যান্সার আসলে কী?
প্রোস্টেট ক্যান্সার হলো পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থিতে হওয়া এক ধরনের ক্যান্সার। প্রোস্টেট গ্রন্থি পুরুষের প্রজননতন্ত্রের একটি অংশ, যা মূত্রাশয়ের নিচে এবং মলদ্বারের সামনে অবস্থিত।
এর প্রধান কাজ হলো বীর্যের জন্য কিছু তরল তৈরি করা। ক্যান্সার হলে প্রোস্টেট কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে এবং টিউমার তৈরি করে।
যদি ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পরে, তখন তাকে মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সার বলা হয়।
লক্ষণগুলো কী?
প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তবে, ক্যান্সার যখন বাড়তে থাকে, তখন কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রোগ নির্ণয় পদ্ধতি
প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
চিকিৎসা পদ্ধতি
ক্যান্সারের পর্যায় এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
প্রতিরোধের উপায়
প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধের নির্দিষ্ট কোনো উপায় নেই। তবে কিছু বিষয় অনুসরণ করে ঝুঁকি কমানো যেতে পারে:
সচেতনতাই মুক্তির পথ
মনে রাখতে হবে, প্রোস্টেট ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এর চিকিৎসা সম্ভব।
তাই, কোনো রকম উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করুন। সচেতনতা এবং সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমেই প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব।
তথ্য সূত্র: সিএনএন