নতুন রূপে ক্যামেরার সামনে আসা নিয়ে সমালোচনার শিকার হওয়ায় মুখ খুললেন নৃত্যশিল্পী ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব শেরিল বার্ক। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি ও ভিডিওর নিচে আসা মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি সরাসরি কিছু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বার্ক-এর নতুন চেহারার কারণ হিসেবে অনেকে ওজেম্পিক নামক ওষুধ সেবনের কথা বলেছিলেন। কেউ কেউ আবার তার অসুস্থতা নিয়েও মন্তব্য করেন। এমনকি, তিনি নাকি মুখের অস্ত্রোপচারও করিয়েছেন এমন কথাও শোনা যায়।
সবার উদ্দেশ্যে ৪১ বছর বয়সী বার্ক বলেন, তিনি ওজেম্পিক নেননি, অসুস্থও নন এবং কোনো ধরনের অস্ত্রোপচারও করাননি।
নিজের ভিডিওতে বার্ক আরও বলেন, “আমি যখন সামাজিক মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও দিই, তখন অনেকে এমন সব কথা লেখেন যেন আমি মানুষ নই। তাদের ধারণা দেখে আমি হতাশ হই।” তিনি জানান, আগে কেমন দেখতে ছিলেন, সেই বিষয়ে অনেকে জানতে চান। এই বিষয়টি তাকে আরও বেশি হতাশ করে।
বার্কের কথায়, “আমি যখন ২১ বছর বয়সে ‘ড্যানসিং উইথ দ্য স্টারস’-এ কাজ শুরু করি, তখন আমার শরীর এবং মুখের গড়ন এখনকার মতো ছিল না। গত ২০ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে। জীবনে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, মানসিক আঘাত পেয়েছি, কঠিন সময় পার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি।”
নিজের অতীতের কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, “আমি হয়তো আগের চেয়ে বদলে গেছি, কিন্তু আমি এর জন্য দুঃখিত নই।”
শেয়ার করা ভিডিওর ক্যাপশনে বার্ক লিখেছেন, “আমি ওজেম্পিক নিইনি, অসুস্থও নই। আমি কোনো নতুন মুখও তৈরি করিনি। নারীদের শরীর নিয়ে এভাবে আলোচনা করা বন্ধ করুন যেন এটা আপনাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। আমার আরোগ্য লাভের বিষয়ে, অথবা অন্য কোনো বিষয়ে, আমি আপনাদের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে বাধ্য নই।”
বার্ক আরও বলেন, “আমি সবসময় মানসিক স্বাস্থ্য এবং শরীরের গঠন নিয়ে কথা বলেছি। আগে হয়তো অন্যভাবে করেছি, এখন হয়তো একটু শান্ত হয়েছি। আমি নিজের কিছু নিয়ম তৈরি করেছি, যা আগে করিনি। কিছু মানুষ আছে, যারা সমাজের এই দিকটা ভালো চোখে দেখে না। তাদের এমন আচরণ দেখে আমার খারাপ লাগে।”
বার্কের এই ভিডিওর নিচে বহু মানুষ মন্তব্য করে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা বার্কের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে নিজের ৪১তম জন্মদিনের প্রাক্কালে বার্ক একটি ইন্সটাগ্রাম পোস্টে লেখেন, “এই সময়ে আমি নিজেকে প্রমাণ করতে চাই, আমি শান্তির যোগ্য, ভালো থাকার যোগ্য।”
তথ্য সূত্র: পিপল