এবিসি’র জনপ্রিয় কমেডি ধারাবাহিক ‘মডার্ন ফ্যামিলি’-র কথা আজও অনেকের মনে আছে। এই ধারাবাহিকে অ্যালেক্স ডানফির চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া ২১ বছর বয়সী অভিনেত্রী অ্যারিয়েল উইন্টার সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি এখন আর ‘মডার্ন ফ্যামিলি’-র পুনঃপ্রচার দেখেন না।
বিনোদনের জন্য তিনি বরং ক্রাইম বিষয়ক তথ্যচিত্র দেখতে বেশি পছন্দ করেন।
২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা ১১টি সিজনে ‘মডার্ন ফ্যামিলি’ দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। অ্যারিয়েল যখন এই ধারাবাহিকে কাজ শুরু করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর।
সেই সময় এর এত বড় সাফল্য পাওয়া নিয়ে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। অ্যারিয়েল জানান, শুরুতে তিনি তাঁর সহ-অভিনেতা, বিশেষ করে ‘জে’ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা এড ও’নিলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে খুবই আনন্দিত ছিলেন।
ধারাবাহিকটি মুক্তির পর দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে এবং সমালোচকদেরও মন জয় করে। এই সাফল্যের জন্য অ্যারিয়েল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এত দীর্ঘ সময় ধরে একই ধারাবাহিকে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা এখন আর দেখা যায় না। ‘মডার্ন ফ্যামিলি’-র সেটে তাঁরা একটি পরিবারের মতো ছিলেন, তাই ধারাবাহিকটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর সবাই যখন আলাদা হয়ে যান, তখন তাঁর খুব খারাপ লেগেছিল।
লস অ্যাঞ্জেলেস ছেড়ে বর্তমানে অ্যারিয়েল প্রযোজনা ও রান্নার অনুষ্ঠান তৈরির কাজ করছেন।
এছাড়া, আগামী বছর তিনি ‘সোফিয়া দ্য ফার্স্ট’ নামক একটি অনুষ্ঠানে কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও ফিরবেন।
ভবিষ্যতে যদি কোনো নেটওয়ার্ক শো’তে কাজ করার সুযোগ আসে, তাহলে তিনি অবশ্যই ফিরতে চান।
‘মডার্ন ফ্যামিলি’-র একটি সিজনে ২২টি পর্ব থাকলেও, কাজের চাপ তেমন বেশি ছিল না। মাঝে মাঝে তাঁরা সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাজ করতেন।
অভিনয় জীবন থেকে দূরে না গিয়ে, অ্যারিয়েল এখনো তাঁর অভিনয় জীবনকে ভালোবাসেন এবং সহ-শিল্পীদের খুব মিস করেন।
তিনি জানান, তাঁর অভিনয় জীবনের অন্যতম সেরা বন্ধু এখনো ‘মডার্ন ফ্যামিলি’-র সহ-অভিনেতা, যিনি তাঁর ছোট ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
বর্তমানে অ্যারিয়েল একটি নতুন বিষয়ে মনোনিবেশ করেছেন। তিনি অনলাইন যৌন নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কাজ করছেন।
সম্প্রতি, তিনি একটি অনুষ্ঠানে ‘এসওএসএ’ (সোসা) নামের একটি সংগঠনের কার্যক্রম দেখেন, যারা অনলাইনে শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচাতে কাজ করে।
অ্যারিয়েল জানান, তিনি নিজেও অনলাইনে এবং বাস্তব জীবনে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তাই এই ধরনের কাজে যুক্ত হতে পেরে তিনি আনন্দিত।
তাঁর মতে, এখন তিনি অন্যদের সাহায্য করার মাধ্যমে নিজের জীবনের ক্ষত সারানোর চেষ্টা করছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল