ম্যাকডোনাল্ড’স-এর কসমিকস-এর পতন: বিশ্ব খাদ্য বাজারের গতিপ্রকৃতি
বিশ্বজুড়ে ফাস্ট ফুড জায়ান্ট ম্যাকডোনাল্ড’স, তাদের পরীক্ষামূলক পানীয়-কেন্দ্রিক চেইন, কসমিকস বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। অল্প সময়ের জন্য আমেরিকাতে ব্যবসা করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। খাদ্য ও পানীয়ের বাজারে টিকে থাকার জন্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর কৌশল পরিবর্তনের একটি উদাহরণ হিসেবে এই ঘটনাটি দেখা যেতে পারে।
মে মাসের ২৩ তারিখে ম্যাকডোনাল্ড’স জানায় যে তারা তাদের কসমিকস-এর স্বতন্ত্র পাইলট শাখাগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেবে। সেইসঙ্গে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথম কসমিকস-এর শাখাটি ইলিনয়ে চালু করা হয়েছিল। এরপর টেক্সাসে আরও চারটি শাখা খোলা হয়।
তবে, আগামী জুন মাসের শেষ দিকে কসমিকস-এর মোবাইল অ্যাপ বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের জানানো হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে তাদের অর্জিত পয়েন্ট এবং পুরস্কারগুলো ব্যবহার করতে হবে।
কসমিকস-এর মেনুতে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ পানীয় ছিল, যেমন ‘ফ্রেঞ্চ টোস্ট গ্যালাক্সি ল্যাতে’, ‘পিস্টাচিও স্বার্ল শেকেন এসপ্রেসো’, এবং ‘আইল্যান্ড পিক-মি-আপ পাঞ্চ’। এই ক্যাফে-সদৃশ দোকানে চা, কোল্ড কফি এবং ব্লেন্ডেড পানীয়ও পাওয়া যেত।
এর সাথে গ্রাহকদের জন্য ছিল বিভিন্ন টপিং ও ফ্লেভার সিরাপ, সেই সাথে এনার্জি এবং ভিটামিন সি শট-এর মতো উপাদান যুক্ত করারও সুযোগ ছিল। কসমিকস-এ প্রাতরাশের স্যান্ডউইচ, ব্রেড বাইটস ও সফট সার্ভের মতো কিছু খাদ্য উপকরণও পাওয়া যেত।
ম্যাকডোনাল্ড’স জানিয়েছে, কসমিকস থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা তারা তাদের নিয়মিত ইউএস স্টোরগুলোতে পানীয় পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করবে। তারা নতুন স্বাদ ও প্রযুক্তির পরীক্ষা করতে চেয়েছিল, যা কসমিকস-এর মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।
ম্যাকডোনাল্ড’স-এর মতে, কসমিকস ছিল একটি সফল পরীক্ষা, যা তাদের নতুন স্বাদের পানীয় এবং প্রযুক্তির পরীক্ষা করতে সাহায্য করেছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য বাজারে পরিবর্তনগুলো আরও একবার স্পষ্ট হলো। বিশেষ করে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কীভাবে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাইছে, এই বিষয়টিও পরিষ্কার হয়।
তথ্য সূত্র: পিপল