প্রবাসে বসবাস করা এক নারীর এক জটিল পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, যেখানে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। ওই নারীর স্বামী তাদের নিজ দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে কোনো আলোচনা করতে রাজি নন।
জানা যায়, ওই নারী বর্তমানে একটি বিদেশি রাষ্ট্রে বসবাস করেন। বয়স চল্লিশের কোঠায় পৌঁছানোর পর তিনি এখন চাচ্ছেন, তারা যেন তাদের জন্মভূমি, অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে ফিরে আসেন।
এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, তিনি মনে করেন সেখানে তার কর্মজীবনের আরও ভালো সুযোগ তৈরি হবে। দ্বিতীয়ত, তিনি চান তার মেয়ে সেখানকার ভালো কোনো স্কুলে পড়াশোনা করুক।
তৃতীয়ত, তিনি তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কাছে থাকতে চান, যাদের দেখাশোনা করাটা তিনি নিজের দায়িত্ব মনে করেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে বয়স্ক বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের এই দায়িত্ববোধকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়।
কিন্তু সমস্যা হলো, তার স্বামী কোনোভাবেই যুক্তরাজ্যে ফিরতে রাজি নন। তিনি নাকি এই বিষয়ে কোনো কথাই বলতে চান না।
এমন পরিস্থিতিতে ওই নারী বেশ হতাশ এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি অনলাইন ফোরামে তার উদ্বেগের কথা জানান। সেখানে অনেকে এই পরিস্থিতিতে তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
তবে সবাই একমত যে, এর কোনো সহজ সমাধান নেই। কারো কারো মতে, স্বামীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, যেহেতু স্বামীর এই বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই, তাই হয়তো একাই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অর্থাৎ, হয়তো তাকে একাই যুক্তরাজ্যে ফেরার কথা ভাবতে হবে।
আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে আসাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক সময় ব্যক্তিগত পছন্দ এবং পারিবারিক চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা এবং সবার মঙ্গলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: পিপলস