একজন স্ত্রীর উদ্বেগ: স্বামীর সহকর্মীর গভীর রাতে পাঠানো বার্তা।
যুক্তরাজ্যের এক নারীর স্বামী অফিসের এক সহকর্মীর কাছ থেকে গভীর রাতে পাওয়া একটি বার্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি দ্বিধায় ভুগছেন এবং অন্যদের পরামর্শ চেয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন গভীর রাতে স্বামীর ফোনে একটি বার্তা আসে। স্ত্রী জেগে উঠলে স্বামী জানান যে বার্তাটি তার এক সহকর্মীর। বার্তায় ওই সহকর্মী স্বামীর বন্ধুত্বের প্রশংসা করেন এবং অফিসে তার ইতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। ওই নারী জানান, তিনি তাদের ভালো সম্পর্ক সম্পর্কে জানতেন, তবে এত রাতে এমন বার্তা পাঠানোটা তার কাছে অস্বাভাবিক লেগেছে।
বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। স্বামীর মতে, এটি নিছক বন্ধুত্বপূর্ণ একটি বার্তা এবং এতে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি মনে করেন, তার সহকর্মী তাকে ভালো বন্ধু হিসেবে মনে করেন, তাই এমনটা লিখেছেন। অন্যদিকে, স্ত্রীর মনে হয়েছে, এই বার্তাটি তাদের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এই ঘটনার পর, তিনি একটি অনলাইন ফোরামে তার উদ্বেগের কথা জানান এবং অন্যদের মতামত জানতে চান। সেখানে অনেকেই স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। ফোরামের অধিকাংশ সদস্য মনে করেন, গভীর রাতে এমন বার্তা পাঠানোটা সঙ্গত নয়। তাদের মতে, একজন সহকর্মীর এমন আচরণ সন্দেহজনক।
অনেকের মতে, কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্বের একটি সীমা থাকা উচিত। গভীর রাতে এমন বার্তা পাঠানোটা সম্পর্কের অন্য কোনো দিক নির্দেশ করতে পারে। বিশেষ করে যখন কোনো ব্যক্তির বিবাহিত জীবন থাকে, তখন এ ধরনের আচরণ আরও বেশি উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
এই ঘটনার মাধ্যমে, কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের সীমা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেক সময়, অফিসের সম্পর্কগুলো ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে, যা সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করতে পারে।
তথ্য সূত্র: People