হলিউডের সিনেমার বাজারে এখন চলছে জোর কদমে প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছে ডিজনি’র লাইভ-অ্যাকশন ছবি ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’।
একই সময়ে মুক্তি পাওয়া টম ক্রুজের ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ ছবিটিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে এই ছবি। সাধারণত, মে মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মেমোরিয়াল ডে উইকেন্ডে সিনেমা মুক্তির হিড়িক লাগে।
এই সময়ে সিনেমা হলগুলোতে দর্শকের আনাগোনা বাড়ে, আর তাই বক্স অফিসের হিসাবটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বক্স অফিস বিশ্লেষকদের মতে, ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ ছবিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৮৩ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১,৯০০ কোটি টাকা) আয় করেছে। বিশ্বজুড়ে ছবিটির সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩৪১.৭ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৩,৫০০ কোটি টাকা)।
এটি মেমোরিয়াল ডে উইকেন্ডে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির রেকর্ড গড়েছে।
অন্যদিকে, ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ মুক্তির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিস থেকে আয় করেছে ৭৭ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা)। বিশ্বজুড়ে ছবিটির মোট আয় ১৯০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১,৯৮০ কোটি টাকা)।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ, যিনি এই সিরিজের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে আসছেন।
‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ ছবিতে মায়ে কেআলোহা নামের এক তরুণীকে লিলো চরিত্রে দেখা গেছে। এছাড়াও ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ক্রিস স্যান্ডার্স, যিনি ছবিটির লেখক ও পরিচালকও।
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিডনি আগুডং, কাইপো ডুডইট, কোর্টনি বি. ভ্যান্স, বিলি ম্যাগনুসেন এবং জ্যাক গ্যালিফিয়ানাকিস।
‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের নতুন ছবিতেও অ্যাকশন এবং সাসপেন্সের চমক রয়েছে। ছবিতে ইথান হান্ট নামক এক এজেন্টের গল্প বলা হয়েছে, যিনি একটি শক্তিশালী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
এই ছবিতে টম ক্রুজের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সাইমন পেগ, হেলে অ্যাটওয়েল এবং পম ক্লেমেন্টিয়েফ-এর মতো তারকারা।
সিনেমা ব্যবসা একটি বিশাল ক্ষেত্র, যেখানে বিভিন্ন দেশের ছবিগুলো তাদের দর্শক তৈরি করে।
‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং ‘মিশন: ইম্পসিবল’ এর বক্স অফিস সাফল্য সেই প্রতিযোগিতারই প্রমাণ।
তথ্য সূত্র: পিপল