একটি সদ্য-স্নাতক হওয়া তরুণীর স্নাতক অনুষ্ঠানে তার বোনের অনুপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে এক মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন। বোনটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারার কারণ হিসেবে তীব্র মাথাব্যথার কথা জানালেও, ঘটনার দিন তাকে সারাক্ষণ অনলাইনে বন্ধুদের সাথে কথা বলতে এবং ভিডিও গেম খেলতে দেখা যায়।
এই ঘটনায় হতাশ ও মর্মাহত হয়ে তরুণীটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছে।
অনুষ্ঠানটি শুরুর ঠিক এক ঘণ্টা আগে বোনটি জানায় যে, তার তীব্র মাথাব্যথার কারণে সে আসতে পারবে না। কিন্তু তরুণীর অভিযোগ, সারাদিন ধরে বোনকে স্বাভাবিকভাবেই তার ঘরে চিৎকার করতে এবং অনলাইনে বন্ধুদের সাথে হাসিখুশিভাবে কথা বলতে দেখা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে, একজন মানুষের পক্ষে কীভাবে কম্পিউটার স্ক্রিনের এত কাছে বসে একটানা ভিডিও গেম খেলা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, স্নাতক অনুষ্ঠানের পরেও বোনটি তাকে কোনো অভিনন্দন জানায়নি। তরুণীর ভাষায়, “অনুষ্ঠানে সে এসেছিল, সবার সাথে কথা বলল, কিন্তু আমার সাথে কোনো কথাই বলল না।
এমনকি, পরবর্তীতে যখন বাড়িতে ছোটখাটো একটি পার্টি হয়, তখনও একই চিত্র দেখা যায়। বোন সেখানে এলেও, তাকে এড়িয়ে চলেছিল।
তরুণীর মা তাকে বোনকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বললেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে তার পক্ষে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
নিজের এই মানসিক অবস্থা নিয়ে তরুণীটি একটি অনলাইন ফোরামে তার উদ্বেগের কথা জানান।
সেখানে অনেকেই তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে এবং তার অনুভূতিকে সমর্থন জানিয়েছে।
তারা মনে করেন, বোনের এমন আচরণে তরুণীর কষ্ট পাওয়াটা স্বাভাবিক।
অনেকে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, এই ঘটনা তার আনন্দের মুহূর্তকে ম্লান করতে পারবে না এবং যারা তাকে ভালোবাসে, তাদের দিকে মনোযোগ দিতে।
এই ঘটনার মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা এবং সমর্থন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আবারও স্পষ্ট হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল