শিরোনাম: বিয়ন্সের প্রথম মিউজিক ভিডিওতে মায়ের আত্মত্যাগ: সাফল্যের পেছনের গল্প
বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী বিয়ন্সে, যিনি বিশ্বজুড়ে কোটি ভক্তের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, তার সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম আর পরিবারের সমর্থন।
ডেসটিনি’স চাইল্ডের একজন সদস্য হিসেবে তার সঙ্গীত জীবন শুরু হয়েছিল। নব্বইয়ের দশকে তারা সঙ্গীত জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
তাদের “নো, নো, নো (পার্ট ২)” গানটি বিলবোর্ড হট হান্ড্রেডে ৩ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিল, যা তাদের সাফল্যের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল।
বিয়ন্সের মা, টিনা নোলস, সবসময়ই তার মেয়েদের পাশে ছিলেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক আত্মজীবনীতে টিনা তার জীবনের এমনই এক গল্প বলেছেন, যা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ঘটনাটি ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে, যখন ডেসটিনি’স চাইল্ড তাদের “নো, নো, নো (পার্ট ২)” গানের মিউজিক ভিডিওর শুটিং করছিল।
লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিংয়ের সময়, বিয়ন্সের চুলের সাজসজ্জার দায়িত্বে ছিলেন টিনা।
গানের দৃশ্যের জন্য বিয়ন্সের চুলে কিছু সোনালী হাইলাইটস (highlights) দরকার ছিল।
টিনা তার নিজের চুলে থাকা কিছু সোনালী রঙের চুল কেটে, মেয়ের চুলে লাগিয়ে দেন, যাতে তার কাজটি সম্পন্ন করা যায়।
শুটিংয়ের সময় মেকআপ আর্টিস্টদের সঙ্গে শুরুতে কিছুটা মনোমালিন্য হলেও, পরে তারা টিনার মায়ের পরিচয় জানার পর তাদের ব্যবহার পরিবর্তন করে।
টিনার এই ত্যাগের কথা আজও শিল্পীমহলে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
কারণ, একজন মা হিসেবে তিনি সবসময়ই তার মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য পাশে ছিলেন।
টিনার এই আত্মত্যাগ শুধু বিয়ন্সের প্রতি তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ছিল না, বরং একজন মায়ের সীমাহীন ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মায়ের এই অনুপ্রেরণা আর সমর্থন বিয়ন্সের শিল্পী জীবনের সাফল্যের পেছনে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
তথ্য সূত্র: পিপল