যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঘোষণা করা এই সিদ্ধান্ত আগামী এক মাসের জন্য কার্যকর হবে।
বাণিজ্য যুদ্ধের বিস্তার এবং এর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাবের উদ্বেগের মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউজ যদিও বলছে, ফেন্টানাইল পাচার বন্ধের উদ্দেশ্যে এই শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে, তবে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার কারণে উত্তর আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তিতে ফাটল ধরেছে।
কানাডা এরই মধ্যে এর মোকাবিলায় আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা বাজারের অস্থিরতা তৈরি করেছে এবং মার্কিন ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম অবৈধ অভিবাসন এবং মাদক পাচার রোধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছেন বলে ট্রাম্পের দাবি।
এই কারণে তিনি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন।
শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্কে যেন কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেদিকেও তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এদিকে, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার থেকে তারা ১.৫ মিলিয়ন মার্কিনির বাসিন্দাদের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ২৫ শতাংশ বেশি চার্জ করবেন।
অন্টারিও প্রদেশ মিনেসোটা, নিউ ইয়র্ক এবং মিশিগান রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
এই শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা অর্থনীতির গতি কমিয়ে দেবে এবং চাকরি হারানোরও সম্ভবনা রয়েছে।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির বাজেট ল্যাবের অনুমান, কানাডা, চীন এবং মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের ফলে মূল্যস্ফীতি ১ শতাংশ বাড়বে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্ধ শতাংশ কমবে এবং গড়পড়তা একটি পরিবারের প্রায় ১,৬০০ ডলার (প্রায় ১,৭৫,০০০ বাংলাদেশী টাকা) খরচ বাড়তে পারে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে কার্যত সকল বাণিজ্য আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত থাকবে।
তিনি আরও জানান, তারা অভিবাসন ও নিরাপত্তা নিয়ে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল পাচার কমাতে সহযোগিতা করবেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস