ব্রিটিশ ব্যান্ড এজরা কালেক্টিভ-এর সাফল্যের গল্প: বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভার বিকাশে যুব সংগঠনগুলির গুরুত্ব
সম্প্রতি, ব্রিটিশ জ্যাজ ব্যান্ড এজরা কালেক্টিভ-এর সদস্যরা তাদের অসাধারণ সাফল্যের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাদের সঙ্গীত পরিবেশনা শুধু প্রশংসিতই হয়নি, বরং তারা প্রমাণ করেছেন যে সঠিক সুযোগ পেলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা বিকশিত হতে পারে। আর এই সাফল্যের পেছনে তাদের যুব সংগঠনগুলির অবদান অনস্বীকার্য।
এজরা কালেক্টিভ-এর ড্রামার ও দলের প্রধান, ফেমী কোলেসো তার বক্তব্যে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন যুব সংগঠনগুলির প্রয়োজনীয়তার ওপর। তিনি মনে করেন, এই সংগঠনগুলো তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুক্তরাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, একসময় সেখানে প্রচুর যুব ক্লাব ছিল, যেখানে তরুণরা খেলাধুলা, সঙ্গীতচর্চা ও অন্যান্য সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশ নিতো। কিন্তু বর্তমানে সরকারি অনুদান কমে যাওয়ায় অনেক ক্লাব বন্ধ হয়ে গেছে। ফেমীর মতে, ক্লাবগুলো পুনরায় চালু করা উচিত, যাতে তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যায়।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কথা যদি বলি, তাহলে আমাদের দেশেও যুবকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সংগঠন ও কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা, বিতর্ক, বিজ্ঞান ক্লাব – এমন নানা ধরনের আয়োজন তরুণদের মধ্যে নেতৃত্ব, সহযোগিতা ও সৃজনশীলতার গুণাবলী বৃদ্ধি করে। উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বা স্কাউট ও গার্লস গাইড-এর মতো কার্যক্রমগুলো তরুণদের মধ্যে দেশপ্রেম ও সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে।
আমাদের দেশেও এমন অনেক তরুণ আছে, যারা সুযোগের অভাবে তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় না। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ পেলে তারাও একদিন দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে। এক্ষেত্রে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়েই যুব সংগঠনগুলোর প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, প্রশিক্ষিত শিক্ষক ও মেন্টর নিয়োগ, এবং উপযুক্ত অবকাঠামো তৈরি করে আমরা তরুণদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে পারি।
এজরা কালেক্টিভ-এর সাফল্যের মূলমন্ত্র হলো, তাদের সদস্যদের সৃজনশীলতার প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং যুব সংগঠনগুলোর প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, আমাদেরও প্রয়োজন তরুণদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। তাদের স্বপ্ন দেখতে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করতে হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান