ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কারণে দেশটির অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মন্দা ডেকে আনতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এই নীতি নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
ট্রাম্পের উপদেষ্টারা যদিও বিষয়টিকে ‘নমনীয়’ হিসেবে উল্লেখ করে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন, কিন্তু পরিস্থিতি বেশ জটিল বলেই মনে হচ্ছে। এর আগে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কয়েকবার পেছানো হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, শুল্ক আরোপের কারণে পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করলে তা ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সমস্যা ছিল উচ্চ মূল্যস্ফীতি, এমতাবস্থায় এই ধরনের পদক্ষেপ পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলবে।
তবে, কেউ কেউ মনে করেন, এই বাণিজ্যনীতি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য একটি ‘ঝাঁকুনি’ হিসেবে কাজ করতে পারে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। কিন্তু এর ফলস্বরূপ যদি মন্দা আসে, তবে তা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টের কারণ হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা ব্যবসায়ীরাও তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। ওয়ালমার্ট, টার্গেট, কোহলস এবং ডিকস-এর মতো বড় কোম্পানিগুলো তাদের আয়ের পূর্বাভাসে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই মন্দা আসন্ন নয়, তবে শঙ্কা বাড়ছে। গোল্ডম্যান স্যাকস-এর মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা আসার সম্ভাবনা এখন এক-পঞ্চমাংশ।
অতীতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময় শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ছাড় আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তবে, এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। কারণ, বাণিজ্যনীতি নিয়ে তার অনড় অবস্থান অর্থনীতির জন্য আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরি। কারণ, তাদের ভুল পদক্ষেপ দেশটির অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন