শিরোনাম: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে আবারও রিয়াল মাদ্রিদের জয়
ইউরোপিয়ান ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদের দাপট যেন থামবার নয়। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে আবারও জয় ছিনিয়ে নিলো তারা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে। দুই দলের লড়াই বরাবরই উত্তেজনায় ভরপুর থাকে, কিন্তু এবার যেন অ্যাটলেটিকোর কপালে ছিলো আরও একরাশ হতাশা। নির্ধারিত সময়ে খেলা ড্র হওয়ার পর, টাইব্রেকারে রিয়ালের কাছে হার মানে তারা।
ম্যাচটি ছিলো অ্যাটলেটিকোর মাঠ মেত্রোপলিটানোতে। খেলার আগে গ্যালারিতে বিশাল এক ব্যানার দেখা যায়, যেখানে লেখা ছিলো, ‘অ্যাটলেটিকোকে সমর্থন করা আমাকে হত্যা করে… আবার বাঁচিয়েও তোলে।’ খেলার ফল তাদের সমর্থকদের জন্য যেন তেমনই এক অনুভূতি নিয়ে এলো। একদিকে যেমন দলের পরাজয়ের কষ্ট, অন্যদিকে তাদের লড়াইয়ের প্রতি গর্ব। অ্যাটলেটিকোর কোচ দিয়েগো সিমিওনে ম্যাচের পর বলেন, ‘আমি তাদের নিয়ে গর্বিত। তারা যেভাবে লড়েছে, তা অসাধারণ। হয়তো আমরা রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে পারিনি, তবে তারা বেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। আমাদের কথা তাদের অনেক দিন মনে থাকবে।’
এই ম্যাচে সবচেয়ে বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে ভিএআর (VAR)। খেলার মাঝে অ্যাটলেটিকোর একটি গোল বাতিল হয়ে যায়, কারণ হিসেবে জানানো হয়, বল জালে যাওয়ার আগে খেলোয়াড় দু’বার পায়ে স্পর্শ করেছিলেন। যদিও রিপ্লেতে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে দেখা যায়নি। রেফারি এবং ভিএআর নিয়ে ম্যাচের পর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন অ্যাটলেটিকো কোচ সিমিওনে।
রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি অবশ্য এই জয়কে ভাগ্যের বিষয় হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘টাইব্রেকার হলো একটা কয়েন টসের মতো, যা আমাদের দিকে এসেছে।’ রিয়ালের হয়ে রুদ্রিগার জয়সূচক গোলটি করেন।
এই দুই দলের লড়াইয়ের ইতিহাস অনেক পুরোনো। অতীতেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদের জয়জয়কার। তাদের মধ্যকার ফাইনালগুলোতেও রিয়ালের আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
অ্যাটলেটিকোর সমর্থকরা তাদের দলের এমন হারে হতাশ হলেও, তাদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে সবাই প্রশংসা করছেন। একদিকে যেমন রিয়াল মাদ্রিদের দাপট, তেমনই অ্যাটলেটিকোর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সবসময়ই অনুপ্রেরণা যোগায়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান