প্যারিস ফ্যাশন উইকে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গীতশিল্পী টাইলার আকর্ষণীয় পোশাক রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ফ্যাশন দুনিয়ায় কান পাতলে এখন একটাই গুঞ্জন— নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় ফ্যাশন ধারা ফিরে এসেছে।
ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে Chanel একটি পরিচিত নাম। এই ব্র্যান্ডের প্যারিস ফ্যাশন উইকের অনুষ্ঠানে টাইলার উপস্থিতি ছিল বিশেষভাবে নজরকাড়া।
উজ্জ্বল গোলাপি রঙের টুইড মিনি স্কার্ট, বুকের উপরের অংশ খোলা (bustier) টপস এবং একই রঙের জ্যাকেট পরে এসেছিলেন তিনি। পোশাকের সঙ্গে “Chanel” লেখা নেকলেসটি ছিল আকর্ষণীয়। শুধু টাইলার পোশাকই নয়, অনুষ্ঠানে আসা অন্যান্য তারকা এবং মডেলদের পোশাকেও ছিল Chanel-এর ছোঁয়া।
টাইলার পোশাকের এই উজ্জ্বল রং এবং নকশা ফ্যাশন সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁর পোশাকের সঙ্গে ১৯৯৪ সালের Chanel-এর একটি পোশাকের মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যা একসময় বিখ্যাত মডেল নাওমি ক্যাম্পবেল পরেছিলেন। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, টাইলার এই পোশাক Chanel-এর ক্লাসিক ঘরানার প্রতিচ্ছবি।
ফ্যাশন উইকে Chanel-এর পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া দেখা গেছে। সেখানে ছিল বিভিন্ন ধরনের স্কার্ট স্যুট, যা নতুন ডিজাইন ও কাটিংয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। কেউ পরেছিলেন সাদা টিউলের স্কার্ট, আবার কারও পোশাকে ছিল ভিন্নধর্মী কাটিং।
টাইলার পোশাকের বিষয়টি শুধু ফ্যাশন শো-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং ফ্যাশন দুনিয়ায় এটি একটি নতুন ট্রেন্ডের জন্ম দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, টাইলার পোশাকের এই ধারা কর্মক্ষেত্রে পরিধানের উপযোগী পোশাকের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
শুধু টাইলার পোশাকই নয়, অন্যান্য তারকারাও এই ধরনের পোশাকে নিজেদের উপস্থাপন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, অভিনেত্রী আমান্ডা সেইফ্রায়েড-এর কথা বলা যায়। নিউইয়র্কে তিনি একটি উজ্জ্বল হলুদ রঙের স্কার্ট স্যুট পরে এসেছিলেন, যা ফ্যাশন সচেতনদের নজর কেড়েছে। মিল্লি ববি ব্রাউনও একটি ডালমেশিয়ান প্রিন্টের পোশাক পরেছিলেন, যা ছিল খুবই আকর্ষণীয়।
টাইলার এই আকর্ষণীয় পোশাকের সঙ্গে মানানসই কালো রঙের একটি ব্যাগ এবং ছোট করে ছাঁটা চুল তাঁর ফ্যাশন স্টেটমেন্টকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছিল।
ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোকো শ্যানেল নারীদের জন্য ট্রাউজার্স জনপ্রিয় করার পাশাপাশি স্কার্ট স্যুটের ধারণা এনেছিলেন, যা আজও ফ্যাশন জগতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: CNN