ডালাস কাউবয়স দলের তারকা ফুটবলার মাইকা পার্সনস এবং তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ ডি’মার্কাস লরেন্সের মধ্যে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদানুবাদ সৃষ্টি হয়েছে।
লরেন্স সম্প্রতি জানান যে, তিনি সিয়াটল সিহকস দলে যোগ দিয়েছেন, কারণ তিনি মনে করেন ডালাসের হয়ে সুপার বোল জেতা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এর পরেই পার্সনস ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
লরেন্সের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পার্সনস তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লেখেন, “এইগুলো হলো প্রত্যাখ্যান এবং ঈর্ষার বহিঃপ্রকাশ! এটা একটা হাস্যকর বিষয়।” এর উত্তরে লরেন্স বলেন, “আমাকে ‘কৌতুক অভিনেতা’ বলার ফলে তো আর সত্যিটা মিথ্যে হয়ে যাবে না। হয়তো তুমি যদি টুইট করার বদলে খেলা জেতার দিকে মনোযোগ দিতে, তাহলে আমাকে দল ছাড়তে হতো না।”
জানা গেছে, সিহকসের ব্লগার ব্রায়ান নেমেহাউসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ডালাস আমার ঘর… তবে আমি নিশ্চিত যে, আমি সেখানে সুপার বোল জিততে পারতাম না।”
অন্যদিকে, ইএসপিএন-এর একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, পার্সনস ছাড়াও কাউবয়সের অন্য খেলোয়াড়রাও লরেন্সের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট।
ডালাস কাউবয়স বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান স্পোর্টস ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু ১৯৯৫ সালের পর থেকে তারা আর সুপার বোলের শিরোপা জিততে পারেনি। লরেন্স সিহকসের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি ডালাস দলে যোগ দেন এবং তার ছয় বছর পর দলের ইতিহাসে কোনোdefensive খেলোয়াড়ের জন্য সর্বোচ্চ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তবে এই বড় চুক্তি স্বাক্ষরের পর লরেন্সের পারফরম্যান্সে কিছুটা অবনতি দেখা যায়।
কাউবয়স অবশ্য প্লে-অফের ডিভিশনাল রাউন্ডে চারবার খেলেছিল। লরেন্স জানিয়েছেন, এই অফ সিজনে কাউবয়স তাকে কোনো প্রস্তাব দেয়নি, যদিও তিনি এর আগে বলেছিলেন যে তিনি ডালাসে থাকতে চান। ৩২ বছর বয়সী লরেন্স, ইনজুরির কারণে ২০২৪ সালে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন।
অন্যদিকে, পার্সনস এখনো তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছেন। তিনি টানা চার বছর ধরে প্রতি মৌসুমে কমপক্ষে ১০টি করে ‘স্যাক’ করেছেন। এনএফএল-এর ইতিহাসে এমন কীর্তি রয়েছে আর মাত্র তিনজন খেলোয়াড়ের, এবং তাঁরা সবাই প্রো ফুটবল হল অফ ফেমের সদস্য। বর্তমানে পার্সনস তাঁর ‘রুকি কন্ট্রাক্টের’ শেষ বছরে রয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, কাউবয়স হয়তো তাঁকে এনএফএল-এর কোনো কোয়ার্টারব্যাক খেলোয়াড় বাদে সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড় বানানোর কথা ভাবছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান