কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মার্ক কার্নির অপ্রত্যাশিত অভিষেক ঘটেছে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন মোড় আনছে।
জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব এখন তার হাতে।
তবে, এই পদে আসীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কার্নিকে বেশ কিছু জটিল রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত নীতিমালার প্রেক্ষাপটে, বিশ্বজুড়ে ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে, কার্নিকে এখন রক্ষণশীল দলের নেতা পিয়েরে পয়েলিয়েভার মতো রাজনীতিবিদদের মোকাবিলা করতে হবে, যিনি ট্রাম্পের নীতির প্রতি সমর্থন দেন।
অনেকে মনে করছেন, এই ধরনের রাজনীতির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে একটি প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সে ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং জার্মানির ফ্রিডরিখ মার্চ এর মতো নেতারা এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
মার্ক কার্নি এই পরিস্থিতিতে কিভাবে কাজ করবেন, তা এখন দেখার বিষয়।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার সময় নমনীয়তা এবং দৃঢ়তা উভয় গুণাবলির পরিচয় দিতে হবে।
সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্রুয়েতিয়েনের উদাহরণ টেনে অনেকে বলছেন, কার্নিকে কানাডার স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ হলে উভয় দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই কার্নিকে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যাতে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা সম্ভব হয়।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, মার্ক কার্নির জন্য সামনের দিনগুলো বেশ কঠিন হতে চলেছে।
তাকে একদিকে যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সামাল দিতে হবে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন