ঐতিহাসিক ‘ওল্ড ফার্ম’ ডার্বিতে ৩-২ গোলে সেল্টিককে হারাল রেঞ্জার্স। গ্লাসগোর সেল্টিক পার্কে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ ‘ওল্ড ফার্ম’ ডার্বি ম্যাচে রেঞ্জার্স ৩-২ গোলে সেল্টিককে পরাজিত করেছে।
খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল তীব্র উত্তেজনা। এই জয়ে রেঞ্জার্স সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ লেগেছে, কারণ তারা দীর্ঘদিন পর সেল্টিকের মাঠে জয় পেল।
ম্যাচের শুরুতেই রেঞ্জার্স আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে নিকো রাসকিন এর গোলে তারা এগিয়ে যায়।
এরপর ৩৭তম মিনিটে মোহামেদ ডায়োমন্ডের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রেঞ্জার্স। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে রেঞ্জার্স অনেকটা স্বস্তিতে ছিল।
তবে বিরতির পর খেলার চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেল্টিকের ডাইজেন মায়েদা একটি গোল পরিশোধ করেন।
এরপর ৭৪ মিনিটে রিও হাতাতের গোলে খেলায় সমতা ফিরে আসে। মনে হচ্ছিল ম্যাচ ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে, কিন্তু খেলার ৮৮তম মিনিটে হ্যামজা ইগামানের অসাধারণ গোলে রেঞ্জার্স জয় নিশ্চিত করে।
বদলি হিসেবে নামার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইগামানের এই গোল রেঞ্জার্সকে মূল্যবান তিনটি পয়েন্ট এনে দেয়। এই ম্যাচে প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালের পর সেল্টিক পার্কে রেঞ্জার্স সমর্থকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রায় আড়াই হাজার সমর্থক ম্যাচের আগে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। তাদের আবেগ ছিল চোখে পড়ার মতো।
উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, যা মাঠের খেলায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছিল।
রেঞ্জার্সের হয়ে নিকো রাসকিন এবং মোহামেদ ডায়োমন্ড গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করেন। অন্যদিকে, সেল্টিকের হয়ে ডাইজেন মায়েদা এবং রিও হাতাতে গোল পরিশোধ করেন।
খেলার শেষ মুহূর্তে ইগামানের গোলটি ছিল কার্যত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। রেঞ্জার্স এর আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা পুরো ম্যাচে সেল্টিকের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
এই জয়ের ফলে রেঞ্জার্স স্কটিশ প্রিমিয়ার লিগে তাদের অবস্থান আরও সুসংহত করল। অন্যদিকে, সেল্টিককে তাদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে, যাতে তারা আসন্ন ম্যাচগুলোতে ভালো ফল করতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান