ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বিতাড়ন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এর কারণ জানতে চেয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে অভিবাসন সংক্রান্ত বেশ কিছু কঠোর নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। এই নীতির আওতায়, ভেনেজুয়েলার অনেক নাগরিককে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ভেনেজুয়েলায় রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে বহু মানুষ উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিল। কিন্তু বিতাড়নের ফলে তারা পুনরায় কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, বিতাড়ন প্রক্রিয়ায় বিতাড়িত ব্যক্তিদের অধিকার যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ভেনেজুয়েলার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে জোরপূর্বক নাগরিকদের ফেরত পাঠানো কতটা মানবিক, সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সংস্থাগুলো বিশেষভাবে জানতে চাইছে, বিতাড়নের আগে শরণার্থীদের আশ্রয় প্রার্থনার আবেদনগুলো কতটুকু বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়াও, বিতাড়িত নাগরিকদের তাদের আইনজীবী এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেক ভেনেজুয়েলীয় নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। বিতাড়নের ফলে তাদের জীবন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো মনে করে, বিতাড়ন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আইনসম্মত হওয়া উচিত ছিল। বিশেষ করে, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে আরও মানবিক এবং সহানুভূতিশীল হতে হবে। একইসঙ্গে, বিতাড়িত নাগরিকদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। বিতাড়নের ফলে ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা