আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) শীর্ষ পদের নির্বাচন এখন শেষ পর্যায়ে। আগামীকালের ভোটাভুটির আগে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন কয়েক জন প্রভাবশালী প্রার্থী।
বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদে কে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে সর্বত্র। এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী।
এদের মধ্যে অন্যতম হলেন সেবাস্টিয়ান কোয়ে। তিনি মনে করছেন, নির্বাচনের দৌড়ে তিনি ভালো অবস্থানে আছেন এবং তার জেতার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
অন্যদিকে, এই পদের জন্য লড়ছেন স্প্যানিশ নাগরিক জুয়ান আন্তোনিও সামারাঞ্চ। তিনি এই নির্বাচনে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন ক্রিস্টিন কোভেন্ট্রি। তিনি যদি নির্বাচিত হন, তবে ইতিহাস সৃষ্টি হবে, কারণ তিনিই হবেন আইওসির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
নির্বাচনে মোট ৯৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোটারদের সমর্থন আদায়ের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
সেবাস্টিয়ান কোয়ে জানিয়েছেন, তিনি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো শুনেছেন। তিনি মনে করেন, তার পরিকল্পনা গত ১২ বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পরিবর্তনের একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাবনা।
ক্রিস্টিন কোভেন্ট্রিও তার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, তিনি প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত সংগ্রহ করেছেন।
তিনি আরও জানান, এই কয়েক মাসে তিনি তাদের কথা শুনেছেন এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করেছেন।
অন্যদিকে, জুয়ান আন্তোনিও সামারাঞ্চও আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং এই নির্বাচন তার জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
তার প্রধান লক্ষ্য হলো জয়লাভ করা।
আইওসির এই নির্বাচন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ব্যবস্থাপনায় নতুন নীতি ও দিকনির্দেশনা দেবেন, যা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
এখন সবার দৃষ্টি আগামীকালকের ফলাফলের দিকে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান